প্রয়াত ব্যান্ড সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা ২৭২ গানের ডিজিটাল আর্কাইভিং কর্মসূচি থেকে ৫ হাজার ১৪ মার্কিন ডলার রয়্যালটি পেল তার পরিবার। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকালে আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌসী চন্দনার হাতে এ অর্থের চেক হস্তান্তর করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের উদ্যোগে জাতীয় আর্কাইভস ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবিহা পরভীন। সভাপতিত্ব করেন কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন—‘গান আপলোড করে ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জিত হতে পারে, এটি আমাদের দেশে একটি নতুন ধারণা। এটা এখনো দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য। এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে একজন সংগীতজ্ঞকে সম্মান জানানো, তার সৃষ্টিকে সংরক্ষণের পাশাপাশি আর্থিক উপার্জনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসকে সাধুবাদ জানাই।’
আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌসী চন্দনা বলেন, ‘আমাদের গানগুলো অনেক জায়গায় অনেকে অন্যায়ভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু আমরা কোনো রয়্যালিটি পাইনি। কপিরাইট অফিসের তত্ত্বাবধানে আমাদের কপিরাইট করা গানগুলোর ডিজিটালভাবে অর্জিত অর্থ থেকে আমাদের অর্থ প্রদান করেছে।’
কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিকের অন্যতম জননন্দিত শিল্পী রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কপিরাইটস রেজিস্ট্রেশনের প্রথম আবেদনকারী তিনি। তার কালজয়ী সৃষ্টিশীল কর্মকে সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এই মহতি উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে মেধাসম্পদ বিশেষত সংগীতের ক্ষেত্রে দেশের সংগীত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্ব স্ব স্বার্থ সুরক্ষায় সচেষ্ট হবেন এই আশা ব্যক্ত করছি।’