তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে না খেলতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে চীন। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাইডেনের এটি পঞ্চম কথোপকথন। তবে গত চার মাসের মধ্যে এটিই ছিল তাদের প্রথম ফোনালাপ। তাইওয়ান ইস্যু, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে আগে থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। বেইজিং জানিয়েছে, পেলোসি যদি সফরের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেন তাহলে ওয়াশিংটনকে ‘মারাত্মক পরিণতি’র মুখে পড়তে হবে। এ নিয়ে ওয়াশিংটন- বেইজিং সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুই নেতার দুই ঘণ্টা ১৭ মিনিটের ফোনালাপেও পেলোসির সম্ভাব্য সফরের বিষয়টি স্থান পায়। এ নিয়ে বেইজিংয়ের উদ্বেগের বিষয়ে বাইডেনকে অবহিত করেন শি জিনপিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফোনালাপে শি জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আগুন নিয়ে যারা খেলা করে, সেই আগুনে তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে।’
শি জিনপিং বলেন, চীন দৃঢ়ভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা এবং এ অঞ্চলে বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলা।
জো বাইডেন বলেন, তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন বা শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যে কোনও একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি জানান, ফোনালাপে দুই প্রেসিডেন্ট তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। এ নিয়ে নিজ নিজ টিমকেও নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানে বিশেষ করে যোগাযোগের উন্মুক্ত লাইন বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর দেন।
জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মাদকবিরোধী অবস্থানসহ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফোনালাপে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের পারস্পরিক যোগাযোগ বজায় রাখার কথাও বলেছেন শি জিনপিং। তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।