রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার আগ্রহী নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও চায় না রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক। রবিবার (০৯ জুন) বিকেলে গণভবনে ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জুলাই মাসে চীন সফরেও আলোচনা করবেন বলে জানান শেখ হাসিনা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরকার প্রধান জানান, বিদেশে পালিয়ে থাকা অপরাধী তারেক রহমানকেও নিশ্চিতভাবে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
সম্প্রতি জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ১১ দিনের সফর থেকে ফেরার পরদিনই সফরের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার গণভবনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিন দেশে তার সরকারি সফরের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, জাপান ও ফিনল্যান্ড নানান ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
মূল বক্তব্য পাঠের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও খোদ মিয়ানমারই চায় না, রোহিঙ্গারা ফিরে যাক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা এখানে ভলান্টিয়ারের কাজ করে, এরা কোনদিনই চায় না কোনো রিফিউজি তাদের দেশে ফিরে যাক। সমস্যা মিয়ানমারকে নিয়ে। তারা কিছুতেই চায় না এদেরকে নিতে।
আগামী জুলাই মাসে শি জিনপিং এর আমন্ত্রণে চীন সফরে গিয়ে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়েও দুশ্চিস্তার কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আশা সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে। তিস্তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এটা ডেল্টা, হিমালয় থেকে নদীগুলো যে আসছে তা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যেতেই হবে। এখন কথা হচ্ছে আমরা পানি কতটুকু ধরে রাখতে পারবো। এই ব্যবস্থা করে পানি আর চাইতে হবে না।
দেশের একটি মহল তারেক রহমানের বিচার চায় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিশ্চিতভাবে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারেক রহমান এত বেশি টাকা করে ফেলেছে ব্রিটিশদের ওখানে, যে সেখানে তারা বিলাসবহুলভাবে থাকছে। সেখানে গেলেই একটা না একটা বিপদ তৈরি করেই।
সম্প্রতি পাসপোর্ট ছাড়া বিমানের পাইলটের বিদেশ ভ্রমণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় আরো কঠোর হবে সরকার।