শনিবার, ৯ মে: ঈদের কেনাকাটা না করে সেই অর্থ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় বিতরণ করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এবার ঈদ এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, ভিন্ন বাস্তবতায়; দেশ পার করছে সংকট কাল।
“এই পরিস্থিতিতে আমি আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঈদের শপিং না করে এর অর্থ অসহায়, কর্মহীন জনগণের মাঝে বণ্টনের আহ্বান জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা এবারের ঈদ উদযাপন করতে চা; চাই ত্যাগের মহিমায় নিজেদেরকে অসহায় মানুষের সঙ্গে একাত্ম করতে।”
পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটায় ‘সংযম ও পরিমিতিবোধ’ বজায় রাখতে বিত্তবান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
গুজব ও অপপ্রচার ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এক শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। কোনো ঘটনা না ঘটলেও তা রটানো হচ্ছে।”
লকডাউনের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “করোনা ভাইরাস কালে পারিবারিক সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলছে। এ ধরণের সহিংসতা করোনা বিস্তারে হায়ক হতে পারে। আমি সকলকে রমজানের এ সময়ে সংযমী ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার চর্চার ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা ঘরে অবস্থান করছেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছেন, তাদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। মনোবল হারালে চলবে না আমাদের। মাস্ক পরিধান, হাত ধোয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা, তা চর্চায় আমাদের আরও কঠোর হতে হবে।
“আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পরিস্থিতি আরও খারাপ হলেও তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করেছে। বিভিন্ন দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে লকডাউন শিথিল করেছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকাও সচল রাখতে হবে। তাই সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি শিথিল করেছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে শপিং মল খোলার অনুমতি দিয়েছে।
“আমাদের অর্থনীতিতে উৎসবকেন্দ্রীক অর্থনীতির একটা প্রভাব আছে। সরকার শপিংমলে যাওয়ার বিষয়টি জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে শপিংমলে যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি প্রশাসনের নজরদাড়িতে থাকবে।”