একটি মোবাইলের জন্য রিফাতকে মারার চক্রান্ত করেন মিন্নি-নয়ন

0 0
Read Time:3 Minute, 51 Second

বরগুনা সদরে আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মিন্নির রিমান্ড শুনানিতে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতকে বলেন, মিন্নি এ মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও মামলার ১২ নম্বর আসামি রেজোয়ানুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় গত ১৪ জুলাই রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নি জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পাশাপাশি মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে বলেও আদালতকে অবহিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ওই পুলিশ সদস্য জানান, গত ২৬ জুন বুধবার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার দুদিন আগে সোমবার হেলাল নামে একজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় রিফাত শরীফ। হেলাল রিফাত শরীফের বন্ধু হলেও নয়ন বন্ডের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সেই মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য নয়ন বন্ড মিন্নির দারস্থ হয়। পরে রিফাত শরীফের কাছ থেকে ফোন উদ্ধার করে মিন্নি। কিন্তু ওই ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে রিফাত শরীফের মারধরের শিকার হন মিন্নি। পরে হত্যাকাণ্ডের আগের দিন মঙ্গলবার নয়নের সঙ্গে দেখা করে মিন্নি সেই মোবাইল নয়নের হাতে তুলে দেন।

এ সময় মিন্নি তার স্বামী রিফাত শরীফের হাতে যে মারধরের শিকার হয়েছেন তার প্রতিশোধ নিতে নয়নকে মারধর করতে বলেন। তবে মারধরের সময় নয়ন যাতে উপস্থিত না থাকেন, সেটাও মিন্নি নয়নকে বলেন। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় বরগুনা কলেজ মাঠে মিটিং করে রিফাত শরীফকে মারধরের প্রস্তুতি গ্রহণ নেয় বন্ড বাহিনী।

তিনি আরও জানান, রিফাত শরীফের ওপর হামলার আগ মুহূর্তে রিফাত শরীফের সঙ্গে মিন্নি কলেজ থেকে বের হলেও কলেজের সামনে রিফাতকে মারধরের পরিকল্পনা অনুযায়ী কোনো প্রস্তুতি দেখতে না পেয়ে সময়ক্ষেপণের জন্য রিফাত শরীফকে নিয়ে আবার কলেজে প্রবেশ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরগুনা জেলা পুলিশের এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে

পরবর্তীতে বুধবার (১৭ জুলাই) মিন্নিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। সেখানেও আদালতের করা প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি মিন্নি। ফলে আদালত মিন্নির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %