ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন দেবেন
গত ঈদুল আজহার মতো এ বছরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নকর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক দিক-নির্দেশনামূলক সভায় তিনি এঘোষণা দেন।
সাঈদ খোকন বলেন, “ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে।”
সভায় উপস্থিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, “গতবছরের ঈদে আমরা ২৪ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সফল হয়েছিলাম। এবার কি পারবো? সবাই হাত তুলুন।” এসময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাত তুলে সম্মতি জানান।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উদ্দেশে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “আপনাদের সম্মতি নিয়ে আমি নগরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, গতবছরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো।”
তিনি বলেন, ডিএসসিসির এলাকায় মোট ৩৩৯টি স্থান পশু কোরবানির জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্যান্ডেল, পানি, ইমামসহ যাবতীয় ব্যবস্থা থাকবে।
নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, যদি নির্ধারিত স্থানে কোনও কারণে কোরবানি দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে যেখানেই করবেন সেখানে পানি কিংবা রক্ত জমতে দেবেন না।
সাঈদ খোকন বলেন, পশুর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে বড় ব্যাগ দেওয়া হবে। সেই ব্যাগে বর্জ্য ঢুকিয়ে নির্ধারিত স্থানে রাখবেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন। যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
মেয়র বলেন, কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন দেবেন। অপারেটররা আপনার বাসাবাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন। বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকে লাইভ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তদারকি করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর জাহিদ হাসান, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সব ওয়ার্ডের পুরুষ ও নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পরিবহন চালকরা উপস্থিত ছিলেন।