পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই পুলিশসহ ১১ জনকে। মাদারীপুরে ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, ২ পুলিশকে আটক ও ২ জনকে বদলি করা হয়েছে। ধামরাইয়ে ডিবি পুলিশের হাতে আটক ২ জন ও নাটোরে আটক হয়েছে ৪ দালালসহ ৭ জন ,এছারাও আরও কিছু জায়গায় এমন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে । সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশের পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানা যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ২২জুন নাটোর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল শারীরিক এবং লিখিত পরীক্ষায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় নাইম ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর সাথে সংরক্ষিত ছবি এবং আঙুলের ছাপের মিল পায়নি পুলিশ। একইভাবে রাব্বী আলী ও আব্দুল হাদির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা পাওয়া যায়। পরে ওই তিন পরীক্ষার্থীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশসহ বিভিন্ন চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের চারজনসহ মোট ৭জনকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে পুলিশ। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার। প্রেস বিফ্রিংয়ে নাটোর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি রেঞ্জ ডিআইজি ও এসপিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই যেন ১০৩ টাকার বেশি নেওয়া না হয়। নির্দেশনা পেয়ে বেশির ভাগ জেলার এসপি ঘোষণা দিয়েছেন, সরকারি ফি (১০৩ টাকা) ছাড়া প্রার্থীদের আর কোনো টাকা লাগবে না। ঘোষণায় কেউ বেশি টাকা দাবি করলে রেঞ্জ ডিআইজি, এসপি কার্যালয় বা থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আর তদবির করলেই প্রার্থিতা বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, স্বচ্ছতার মাধ্যমেই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগে কোনো ধরনের ঘুষ লেনদেন করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এসপি হলেও তাকে প্রত্যাহার করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব প্রার্থীর যোগ্যতা থাকবে, তারাই নিয়োগ পাবেন। তদবির এলে শোনা যাবে না। প্রতিটি জেলায় তদারকি টিম কাজ করবে