দেশে ক’রোনা ম’হামা’রিতে চাল কান্ডের শেষ যেন হচ্ছেই না। এবার ঘটল ভিন্ন এক ঘটনা। দিনাজপুরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল বা ওএমএস-এর কার্ডধারী হয়েছেন পৌর কান্সিলরের ছেলে।
এই কার্ড গরীব ও দুস্থ মানুষের পাওয়ার কথা থাকলেও দিনাজপুর পৌরসভার ১০,১১,১২ নাম্বার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাজতুরা বেগমের ছেলে মিরেজ হোসেনের নামেও এসেছে।
আর ছেলের কার্ড পাওয়ার বি’ষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চা’পা ক্ষো’ভ বিরাজ করছে। অনেকে প্রকাশ্যে সমালোচনাও করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, দিনাজপুর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মারতুজা বেগম ও ১২ নও ওয়ার্ডের খাইরুল ইসলামের ছেলে মিরেজ হোসেনকে যে কার্ড দেয়া হয়েছে সেখানে তার পেশা দেখানো হয়েছে একজন কৃষক হিসাবে।
কিন্তু আসলে তিনি একজন ব্যবসায়ী। ৫৬১০ নাম্বার কার্ডধারী মিরেজের পেশা সম্পর্কে তার মা মারতুজার দাবি, তার ছেলে একজন কৃষক।
কাউন্সিলর মারতুজা বেগম জানান, আমার ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। কৃষিকাজ করে সংসার চালাতে ওর ক’ষ্ট হয় বলে আমার কাছে একটা কার্ড চেয়েছিল। তাই দিয়েছি।সবাইতো আর ধনী হয়না।
তবে এত কথা যখন হচ্ছে তখন কার্ডটি বাদ দিয়ে দেন।
এ বি’ষয়ে দিনাজপুরের জে’লা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘আমরা এরকম অভিযোগ আরও কিছু পেয়েছি। যার প্রেক্ষিতে এখন দিনাজপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ৬ হাজার বিশেষ ওএমএস-এর কার্ড জে’লার ১২টি স’রকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে পুনরায় যাচাইবাছাই করা শুরু করেছি।’