কুকুরের মুখ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এক চট্টগ্রামের এক এসআই। মঙ্গলবার ভোরে নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে নবজাতকটিকে নিয়ে কাড়াকাড়ি করছিলো তিনটি কুকুর।
তাকে উদ্ধারকারী এসআই ডবলমুরিং থানার মোস্তাফিজুর রহমান।নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘তিনটি কুকুর নবজাতকটিকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া করছিলো।
সেখান থেকে একটু দূরে দায়িত্বরত ডবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজ ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তারপর নবজাতকটিকে প্রথমে মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে সেখান থেকে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।এসআই মোস্তাফিজ বলেন, ‘রাতের ডিউটির শেষভাগে রাস্তার উল্টোদিকে তিনটি কুকুরকে কিছু একটা নিয়ে মারামারি করতে দেখি। আমার কৌতুহল হয়।
এগিয়ে গিয়ে দেখি একটা বাচ্চা। সদ্যজাত শিশু। কুকুরগুলো তাকে নিয়ে টানাটানি করছে। আমি তখন ওই রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া এক নারীর সাহায্য চাইলাম। তিনিও এগিয়ে আসেন।
রাস্তার পাশে একটি টং দোকান থেকে কাপড় নিয়ে বাচ্চাটাকে মুড়িয়ে ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে যাই আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে। মা ও শিশু হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে পরিষ্কার করে দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেলে যাওয়ার পথে বাদামতলী মোড়ে জনতা ব্যাংকের সামনে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে খানিকটা রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় বসে থাকতে দেখি। স্থানীয়রা জানায়, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন, রাস্তাতেই থাকে।
নাম জিজ্ঞেস করলে কথা বলছিলো না। শুধু রাস্তার উল্টো দিকে দেখাচ্ছিল হাত দিয়ে। ওই জায়গাতেই বাচ্চাটাকে নিয়ে কুকুরগুলো টানাটানি করছিলো তখন।’এসআই মোস্তাফিজের ধারণা, সোনালী ব্যাংকের সামনে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর রাস্তার অন্য পাশে এসে বসে ছিলেন ওই নারী।
আর কুকুরগুলো তখন নবজাতকের গায়ে লেগে থাকা নাড়ি নিয়ে টানাটানি করছিলো।পরে নবজাতকের সঙ্গে ওই নারীকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে নবজাতকটি সুস্থ আছে। কুকুরের কামড় তার গায়ে লাগেনি। ওই নারীকে গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।