রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিটিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের তিন দিনব্যাপী (১৫, ১৬,১৭ই মার্চ) স্মরণোৎসব অনুষ্ঠানের শেষ দিন ( বৃহস্পতিবার) এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ (এমপি)। তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। আলোচক বক্তা ছিলেন লালন একাডেমির প্রধান খাদেম মোহাম্মদ আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ: কা: ম: সরওয়ার জাহান বাদশাহ্, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু, কুষ্টিয়া বিজ্ঞ পিপি অনুপ কুমার নন্দী এবং কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি ও প্রেসক্লাব (কেপিসি) সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তা ছিলেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) ও লালন একাডেমির সহ-সভাপতি শারমিন আক্তার, কুমারখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও লালন একাডেমির এ্যাডহক কমিটির সদস্য বিতান কুমার মন্ডল।
স্বাগত বক্তা ছিলেন অতিরিক্ত পিপি ও কুষ্টিয়া লালন একাডেমির এ্যাডহক কমিটির সদস্য এ্যাড শহিদুল ইসলাম।
স্মরণোৎসবে আলোচনা সভা, লালন মেলা ও সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং লালন একাডেমির আয়োজনে এই স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে দুর দুরান্ত থেকে লালন একাডেমির শিল্পী আসছে ও লালন ভক্তরা অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন। আলোচনা শেষে দ্বিতীয় পর্বে লালন মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে লালন সঙ্গীত। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনামা শিল্পীবৃন্দসহ লালন একাডেমীর শিল্পিরা।
লালন স্মরণোৎসবকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লালন ভক্তরা উপস্থিত হয়েছেন লালন আখড়া বাড়িতে। সেই সাথে বিদেশি লালন ভক্ত ও পর্যটকরাও এসে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন লালন স্মরণোৎসব।
উল্লেখ্য, বাংলা ১২৯৭ সালের ১লা কার্তিক প্রয়াণ হয় বাউল সম্রাট লালন শাহের। এরপর থেকেই কালিগঙ্গা নদীর তীরে পালিত হয়ে আসছে লালন স্মরণোৎসব।