কোনো কাজকে যে শিক্ষার্থীরা ছোট মনে করবে না তারাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা যত উন্নয়ন করি না কেন, শিক্ষার উন্নয়ন না হলে তা কাজে আসবে না। বঙ্গবন্ধু সেই সময় স্বল্প বাজেটের মধ্যেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছিলেন শিক্ষা খাতে। শিক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর উপজেলার ৪৭ নম্বর লালমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে বিএনপি জামাতের আমলে বাংলাদেশের শিক্ষার মান বাড়েনি, কমেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সব শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি। ২০১৮ সালের ইশতেহারে আমরা বলেছি, শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। আমরা যেন শুধু শিক্ষিত বেকার তৈরি না করি। এ জন্য কারিগরি শিক্ষাও দিচ্ছি, দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও বাড়িয়েছি। সেখানে কর্মোপযোগী শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়ে পড়ে শিখবে, জানবে, মুখস্থ নয়। তারা যেন সে শিক্ষাটাকে কাজে লাগাতে পারে।
নয়তো সেটার কোনো মূল্য নেই। তারা মূল্যবোধ শিখবে, অসাম্প্রদায়িক মানুষ হবে। মানুষের প্রতি সম্মানবোধ নিয়ে তারা বড় হবে। বৈধ কোনো কাজকে তারা ছোট মনে করবে না। তারাই গড়বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। আপনারা জানেন আগে কেউ প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে ভাবেননি। আজকে আমাদের শিক্ষা অনেক দূর এগিয়েছে। আজ স্কুলগুলোর অনেক উন্নতি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ট্যাক্স, পানির বিল মওকুফ করে দিয়েছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছয়-সাতটি মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন করবেন। আমরা নিজেদের অর্থায়নে নগর ভবন করেছি, শেখ রাসেল পার্ক করছি এবং চারুকলা ইনস্টিটিউট করছি। নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আবুল আমিন প্রমুখ।