পেট ভরাতে, মন ভরাতে খাবার তো খাবেনই। কিন্তু প্রত্যেক খাবার খাওয়ার একটা সময় আছে। নইলে তা শরীরের কাজে লাগবে কি করে। দুধ, দই, ফল শরীরের পক্ষে ভালো। তাই বলে তো আর একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। দেখে নিন, সকাল হোক বা সন্ধ্যা কোন সময় কি খাবার খাবেন।
টকদই- শরীরের জন্য টকদই খুবই উপকারী। টকদই খেলে হজম ভালো হয়। দুপুরের খাবার পর যদি খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো। ঠান্ডা দই খেলে যে সর্দি কাশি হবে বা গলার ক্ষতি হবে এমনটা নয়। তবে দুপুরে খাওয়া না হলেও যে কোনও সময়েই দই খেতে পারেন।
ভাত- ভাত খেলে ঘুম ভালো হয়। তাই দিনের শেষে অনেকেই ভাত খাএয়া পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি, রাতে ভাত খেলে বেশি পরিমাণ প্রোটিন জমা হয় আপনার শরীরে? তাই রাতে ভাত না খেয়ে চেষ্টা করুন দুপুর১২টার মধ্যেই ভাত খেয়ে ফেলতে। কারণ তখন শরীরে সুগারের লেভেল কম থাকে। ভাত খেলে সেই ঘাটতি পূরণ হয়। ১২টার পর যখনই ভাত খান না কেন তাতে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়বে বই কমবে না।
আপেল- প্রতিদিন যে কোনও সময় একটা আপেল খেতে পারলে খুব ভালো। আপেলের মধ্যে ফাইবার থাকে। প্রোটিন থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে একটা করে আপেল খেতে পারলে ভালো
কলা- কলা খুবই এনার্জি দায়ক একটি ফল। কলা আমাদের হজমে সাহায্য করে। তাই যে কোনও ওয়ার্ক আউট শুরুর আগে বলা হয় কলা খেতে। এতে অনেকক্ষণ পেটও ভরে থাকে। তবে রাতের বেলা কলা কিন্তু একদম কাবেন না। এর ফলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডাল ও শস্যদানা- দুপুর কিংবা সকাল মন ভরে শস্যদানা খান। ডাল, ভেজানো ছোলা, অঙ্কুরিত মুগ, বাদাম সবই চলতে পারে। তবে রাতে কিন্তু দানাশস্য একদম নয়। কারণ এর ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয় এবং যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের একদমই খাওয়া উচিত নয়।
চিজ- যাঁরা নিরামিশ খান তাদের তালিকায় অবশ্যই চিজ রাখা উচিত। কারণ চিজ ক্যালশিয়ামের খুব ভালো উৎস। এছাড়াও প্রোটিন থাকে। চিজ হজম করতে একটু বেশি সময় লাগে। তাই সন্ধের দিকে খেতে পারলে ভালো। এছাড়াও যারা ওজন বাড়াতে চান তারাও অবশ্যই খেতে পারেন।
দুধ- যে কোনও সময়ই দুধ খাওয়া যায়। দুধে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, খনিজ সবই থাকে। তাই দুধ মানব শরীরের জন্য এত উপকারী। এছাড়াও হাড় ও দাঁত গঠনে দুধের প্রচুর ভূমিকা রয়েছে। যে কোনও কিছুর সঙ্গেই দুধ খাওয়া যায়। যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একগ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন তাহলে তা খুবই ভালো।