বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতই অপরিবর্তিত রয়েছে। উন্নতি বা অবনতি কোনোটাই হয়নি। হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়ার পর থেকে পরিপাকতন্ত্রে বড় ধরনের কোনো রক্তক্ষরণ হয়নি। এটাকে আল্লাহর রহমত হিসেবে উল্লেখ করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তবে সুস্থ হওয়ার জন্য তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান তিনি।
এদিকে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। তাই খুব শিগগিরই মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করবে তাঁর পরিবার। এর পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়েও আবেদন করা হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবার ও আইনজীবীদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট একজন আইনজীবী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে প্রতিবার পরিবারের পক্ষ থেকেই আবেদন করা হয়। এবারো তাই হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো প্রস্তুত করে দেই।
সবকিছু তৈরি করে বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। শুধু পরিবার থেকে তাঁর বোন অথবা ভাই স্বাক্ষর করার পর সময় করে আবেদন করবেন। আশা করছি খুব শিগগিরই আবেদন করা হবে।
বেগম জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে তাঁর মেজো বোন সেলিনা ইসলাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ। তাঁর মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদন করতেই হবে।
তবে কবে নাগাদ আবেদন করা হবে এখনো সেটা ঠিক হয়নি। ছোটো ভাই শামীম ইস্কাদার বিষয়টি দেখছেন। তাছাড়া বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করাই আছে। কিন্তু সরকার অনুমোদন করছে না। আগামীতে এজন্যে আর কী করা যায় সেটিই ভাবছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চিকিৎসকরা নিয়মিতভাবে তাঁর গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান। বিশেষ করে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মধ্যে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মো. আল মামুন নিয়মিত যাচ্ছেন। এছাড়া তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরাও রুটিন অনুযায়ী তাঁকে দেখতে ফিরোজায় যাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। হাসপাতাল থেকে নেয়ার সময় যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী করোনা মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এই পর্যন্ত চার দফায় তাঁর এই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।