- গত ১৮ অগস্ট মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিব সীতারাম কুন্তে ও বাংলার মুখ্যসচিব পরিকৃষ্ণ দ্বিবেদিকে চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সচিব অলোক কুমার।
গত অগস্টেই রাজ্যগুলিকে কয়লার ঘাটতি সম্পর্কে অবগত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কয়লা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গত সোমবারই জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তিসম্পদ মন্ত্রী আরকে সিং এবং কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
এই আবহে মিন্ট বেশ কয়েকটি নথি পর্যালোচনা করে জানতে পেরেছে যে গত ১৮ অগস্টই রাজ্যগুলিকে কয়লা ভাণ্ডারে ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছিল। অগস্টে ১৮.৫ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছিল কয়লার ভাণ্ডার। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সচিব অলোক কুমার মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিব সীতারাম কুন্তেকে এই বিষয়ে গত অগস্টেই একটি চিঠিতে লেখেন, ‘আপনি জানেন যে লকডাউন উঠে যাওয়ার পরই বিদ্যুতের চাহিদার তীব্র বৃদ্ধি লক্ষ্য করছি আমরা। যেহেতু কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বিদ্যুতের চাহিদার অধিকাংশ মেটায়, তাই রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত কয়লার মজুদ রয়েছে।’
এদিকে গত ১৮ অগস্ট কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎসচিব চিঠি লিখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে জানান, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের কাছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২১৮২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে সেই অর্থ সময়মতো না-মেটালে কয়লার জোগানে সমস্যা হতে পারে। উল্লেখ্য, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকেই দোষারোপ করেছে। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্যের তৈরি করা সঙ্কটের জেরেই এই পরিস্থিতিতি তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির মধ্যে ১৩৫টি চলে কয়লা দিয়ে। এর মধ্যেই অর্ধেকরও বেশি কেন্দ্রে কয়লার সঙ্কট ব্যাপক আকার নিয়েছে। তাদের হাতে তিনদিনেরও কম জ্বালানি মজুত রয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা ভারতের একার নয়। অতিমারি আবহে এবং লকডাউন পরবর্তী সময়ে চাহিদা ও জোগানের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তার জেরেই তৈরি হয়েছে এই সঙ্কট।