গুগলের নতুন স্কিন টোন স্কেলের অর্থ কি?

0 0
Read Time:2 Minute, 52 Second

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিস্টেমকে আরও উন্নত করতে নতুন কিছু স্কিন টোন স্কেল উন্মোচন করেছে গুগল। মঙ্ক নামের এই স্কিন টোন স্কেলে রয়েছে মোট ১০টি টোন। নামটি এসেছে হার্ভার্ডের প্রফেসর ড. এলিস মঙ্কের নাম থেকে। গুগল জানায়, এগুলো পুরোনো যে স্কিন টোন স্কেলের প্রতিস্থাপন সেগুলো মূলত ছিল অনেকটা বিবর্ণ স্কিনের মতো। তারা দাবি করে এটি সার্চ এবং ফটোস এর মতো পণ্যগুলির মানকে আরও উন্নত করবে।

স্কিন স্কেল কী?

এটি মূলত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার একটি মেশিন লার্নিং পদ্ধতি। এর মাধ্যমে অনেকগুলো প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়। যেমন ক্যামেরা দিয়ে ফেস আনলক করার প্রযুক্তিতে ফেস রিকগনিশনের জন্য অথবা স্বয়ংক্রীয়ভাবে বিভিন্ন ছবিকে ক্যাটাগরিতে ভাগ করার জন্য। কিন্তু এগুলোকে ব্যবহার করার আগে মেশিনকে আগে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হয়। আর এই শেখার কাজে ব্যবহার করা হয় স্কিন স্কেল। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো, ফিটজপ্যাট্রিক স্কেল। এটি প্রথম তৈরি করা হয় ১৯৭৫ সালে। বিভিন্ন স্কিনকে অতি বেগুনি আলোয় বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হতো। এখানে মোট ৬ প্রকার টোন ছিল। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা মানুষের ছবিকে বিভিন্ন ক্যাটারিতে ভাগ করার কাজ করে থাকে।

মঙ্ক স্কিন টোনকে কী কাজে ব্যবহার করা হবে?

এতে রয়েছে মোট ১০টি টোন। তাই এটি দিয়ে আরও বেশি পরিসরে কাজ করা হবে। ইতোমধ্যেই একে গুগল সার্চে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন: মেকআপ ইমেজ সার্চে এই প্রযুক্তি দিয়ে আরও বেশি পরিসরে ছবি দেখাবে। এছাড়া তুলনামূলক অন্ধকার স্কিন নিয়ে কাজ করার জন্য রিয়েল টোন নামে একটি ফটো ফিল্টার ব্যবহার করছে বলে জানায় গুগল। বিবিসি জানায়, গুগল এই মঙ্ক স্কিনটোনকে ওপেন সোর্স করে দিয়েছে। তার মানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে পারবে।

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *