আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
বলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক হয়নি। সে কারণে নগর জীবনে হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি।
রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বামজোট আহুত হরতালের সমালোচনা করে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ঢাকা শহরে হরতালের কোনো চিহ্ন নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীতে চলছে যানজট। বাস্তবতা বুঝে এ হরতালে দেশের জনগণের সাড়া নেই। হরতাল এখন গণআন্দোলনের অস্ত্র নয়, এটা মরিচা ধরে গেছে।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ কারণে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো অযৌক্তিক হয়নি।
সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে দলের যারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধিতা করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে সেসব বিষয় দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা হবে।
নৌকা মার্কার বিরোধিতা করে যারা বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো এমপি বা মন্ত্রী যদি দোষী হয় পরবর্তীতে তাকে আর মন্ত্রী করা হবে না বা এমপির টিকিট দেওয়া হবে না, এটা কি তার জন্য শাস্তি নয়? শুধু দল থেকে বহিষ্কার করলেই কি শাস্তি হয়।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সে প্রস্তুতি, লক্ষ্য, উদ্যোগ আমাদের আছে।
ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।