অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মেট্রোরেলের স্টেশন না বসানোর দাবি জানিয়ে ভাঙচুর করেছে কিছু শিক্ষার্থী। তারা কয়েকটি নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ভাঙচুর চালায়।
ছাত্র ইউনিয়ন এতে নেতৃত্ব দেয় বলে জানা গেছে।
শনিবার বিকেলে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন পালন করেন তারা। এসময় তারা টিএসসির দেয়াল ভাঙার প্রতিবাদও জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মেট্রোরেলের স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা ঘটায়।
পরবর্তীতে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাইম হামলার বিষয় স্বীকার করে বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ির করা হচ্ছিল। এতে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছিল।
তিনি বলেন, এত কিছুর পরও আমরা সহ্য করেছি। কিন্তু যখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোয় হাত দিয়েছে তখন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে বসে থাকতে পারি না।
শিক্ষার্থীরা জানান, টিএসসিতে মেট্রোরেলের স্টেশন স্থাপনের ফলে প্রায় ২০’র অধিক গাছ কাটতে হবে। এতে আমাদের চিরপরিচিত টিএসসি যেখানে আমরা প্রকৃতির ছোঁয়া পাই, সেই টিএসসি তার সৌন্দর্য হারাবে। তা ছাড়া টিএসসিতে স্টেশন করা হলে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যাবে। এতে টিএসসির পরিবেশ নষ্ট হবে।
এদিকে, স্টেশন স্থাপনের প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের নেতৃত্বে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অর্থনীতিতে বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফিয়া জাহান সুস্মিতা বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে মেট্রোরেল নিয়ে যাচ্ছে৷ এটা নিয়ে প্রথম দিকে আমরা আন্দোলনও করেছি। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসে যদি মেট্রোরেলের স্টেশন বসানো হয়। তাহলে পুরো ঢাকা শহরের মানুষ এখানে নামবে। তখন ক্যাম্পাস গুলিস্তানে পরিণত হবে। আমরা চাই না যে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাস গুলিস্তানে পরিণত হোক’।
ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল হচ্ছে। তা আমরা মেনে নিলেও স্টেশন বসানোর সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনো নেব না। শাহবাগে স্টেশন হলে টিএসসি এলাকায় স্টেশন বসানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে স্টেশন বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি’।