চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণের দাবিতে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। তাতেও জয় পেয়েছেন তিনি। কিন্তু পরপর দুইবার এই বিশাল জয়লাভের পড়েও তাকে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিবার থেকে বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।শনিবার (৫ মার্চ) একটি লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান।
১৮ সংগঠনের নেতা সোহানুর রহমান সোহানের দাবি ছিল— হাইকোর্টের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে শপথ না পড়ানোর। কিন্তু শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সেটি না করায় ক্ষুব্ধ ১৮ সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়া গতকাল শনিবার সকালে এফডিসিতে এক বৈঠকে জায়েদ খানকে বয়কটসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে শিল্পী সমিতিকে বাদ দিয়ে সেখানে নতুন করে আমন্ত্রণ জানানো হয় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিকে, যা নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে।
জায়েদ খানকে বয়কট ও বৈঠকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।তিনি বলেন, ‘জায়েদ বা নিপুণ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো— সংগঠনের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখা। আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেখেই জায়েদকে শপথ পড়িয়েছি। এখন কে বা কোন সংগঠন তাকে পছন্দ করল না, সেটি বিষয় না। আদালতের রায় মানতে আমি বাধ্য।’ এছাড়া ব্যক্তিকে ইস্যু করে শিল্পী সমিতিকে ছাড়াই বৈঠক করাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা সমিতি গঠনতন্ত্র দিয়ে চলে। এখানে কারও ওপর কারও খবরদারি সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। ১৮ সংগঠন শিল্পী সমিতিকে ডাকলে আমি অবশ্যই যেতাম। তবু চাইব বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে। নইলে ইন্ডাস্ট্রি আরও তলানিতে যাবে। মানুষের হাসির পাত্র হব আমরা।’
শিল্পী সমিতিকে পাশ কাটিয়ে বৈঠকের বিষয়ে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান জানান, ‘আমরা জায়েদ খানকে বয়কট করেছি। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে বলেছিলাম, কোটের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে শপথ পড়াবেন না। তিনি সে কথা শোনেননি। তাই যতদিন জায়েদ খান থাকবে, শিল্পী সমিতিকে বাদ দিয়েই সব কিছু হবে।’
শনিবারের ওই বৈঠকে ছিলেন প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতি, নৃত্য পরিচালক সমিতি, চিত্রগ্রাহক সমিতি, ফাইট ডিরেক্টরদের সমিতি, সহকারী পরিচালকদের সমিতি, মেকআপম্যানদের সমিতি, প্রোডাকশন ম্যানেজার সমিতিসহ ১৮ সংগঠনের নেতারা।