জৈব মারণাস্ত্র বানাতে গিয়েই বিপত্তি!,করোনা ভাইরাস চাষ করছিল চিন

0 0
Read Time:6 Minute, 23 Second

চিনের করোনা ভাইরাসের দাপট যেন ‘রেসিডেন্ট ইভিল’ সিনেমার বাস্তব প্রতিফলন। ইউক্রেন বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী মিলা জভোভিচ অভিনীত, পল অ‌্যান্ডারসন পরিচালিত হলিউডি সুপারহিট ছবিটির রয়েছে ছয়টি সিরিজ। মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দফায় দফায়।

জৈব রাসায়নিক অস্ত্র এবং জেনেটিক‌্যাল মিউটেশন কীভাবে মানব সভ‌্যতার ধ্বংস ডেকে আনবে তা দুর্দান্তভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে এই বিখ‌্যাত সায়েন্স ফিকশন এবং হরর থ্রিলার ছবিতে। রেসিডেন্ট ইভিলে দেখানো হয়েছে, গোপন গবেষণাগারে তৈরি ‘টি’ ভাইরাস ও ক্লোনিং প্রক্রিয়া বিভিন্ন নিরীহ প্রাণী ও মানুষের উপর প্রয়োগ করে প্রথমে তাদের জিনগত অভিযোজন ঘটাচ্ছে। তারপর তাদের হিংস্র দানবে পরিণত করে সাম্রাজ‌্য বিস্তারের চক্রান্ত করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত এই গবেষণা বুমেরাং হয়ে যায়। কোটি কোটি মানুষ টি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জম্বিতে পরিণত হয় এবং গবেষকদের দোষেই মানব সভ‌্যতা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় দুনিয়া থেকে।

আরো পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচার ১২ উপায়

চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ক্রমেই মহামারীর আকার নিচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ‌্যা। আক্রান্ত হতে বাদ নেই ইউরোপ, আমেরিকাও। বিমানযাত্রীদের মাধ‌্যমে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। এই ঘটনায় রেসিডেন্ট ইভিল সিনেমার ভয়ানক প্রতিফলনই দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। কারণ, দুটি দাবি ঘিরে চাঞ্চল‌্য ছড়িয়েছে দুনিয়া জুড়ে। প্রথমটি হল ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সন্দেহ করেছে, রহস্যময় ‘নোভেল করোনা ভাইরাসের’ চাষ করেছে চিনের গোপন সামরিক গবেষণাগার। দ্বিতীয় দাবি, মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট এই দাবিকেই সমর্থন করেছে।

ইজরায়েলের জীবাণু অস্ত্রের বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, এই ভাইরাসের জন্মদাতা ইউহানের জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কারখানা বায়ো-সেফটি লেভেল ৪ ল্যাবোরেটরি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অসাবধানতাবশত এই গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ। আসলে জৈব রাসায়নিক অস্ত্রের উপর গবেষণা করতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। ইজরায়েলের সেনা গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে সে দেশের দুটি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ব‌্যাপক আধুনিকীকরণ, ছাঁটাই প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন করছে চিন। চলছে জীবাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়েও গবেষণা। এরই অঙ্গ হিসাবে সার্স জাতীয় ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছে চিনের সামরিক বাহিনীর গবেষণাগার।

আরো পড়ুন: নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩ জন একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

সার্সের পুরো নাম, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম। জ্বর, হাঁচি, কাশি, শরীরে অসহ‌্য ব‌্যথার মতো উপসর্গ থাকে এই রোগে। পরিণতি ভয়ংকর মৃত্যু। সার্সের মতোই আরেকটি নয়া ভাইরাস হল নোভেল করোনা ভাইরাস। এটি আরও মারাত্মক এবং শক্তিশালী। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইজরায়েলের মোসাদের দাবি, শত্রুদেশ দখল করতে, বিনা রক্তপাতে শত্রু সেনাদের খতম করতে অনেকদিন ধরেই জীবাণু অস্ত্র নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে চিনের লাল ফৌজ। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশেই এই গবেষণা চলছে। কিন্তু এই গবেষণা যে দুর্ঘটনাবশত বুমেরাং হয়ে যাবে এবং দেশজুড়ে মহামারীর আকার নেবে তা ভাবতে পারেননি গবেষকরা। ভাইরাসের দাপটে চিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

নানা মহলের দাবি, রহস‌্যময় এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে উহান প্রদেশের গোপন গবেষণাগার থেকেই। কোনও কোনও মহল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নাশকতা বা অন্তর্ঘাত করেই চিনের কোনও বিজ্ঞানী বা গুপ্তচর এই ভাইরাস ছড়িয়েছেন।

আরো পড়ুন: টাকার মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস, বাঁচবেন যেভাবে

ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে স্পষ্ট জানিয়েছে, এই আরএনএ ভাইরাসকে চিন তৈরি করেছে মারণাস্ত্র হিসেবেই। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবলে হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা সম্ভব। উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিএসএল-৪ ল্যাবরেটরিতে অতি গোপনে এই জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল অনেকদিন ধরেই।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %