২০১৯ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। একমাত্র টেস্টে রশিদ-নবী জুজুতে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাগতিকরা। তাতে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পেতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। প্রায় আড়াই বছর পর আবারও রশিদ-নবীদের সামনে পড়তে যাচ্ছেন তামিমরা। আগামীকাল (বুধবার) চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে আফগানরা ওই টেস্ট থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ৮ ম্যাচ খেলেছে। যেখানে বাংলাদেশের জয় ৫ ম্যাচে, বাকি তিনটিতে হেরেছে আফগানরা। পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকলেও চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টের জয়টি আফগানিস্তানকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। বাংলাদেশকে টেস্টে হারিয়ে যেখানে থেমেছিল, সেখান থেকেই শুরু করতে চায় তারা।
আফগানদের ওয়ানডে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা সেখান থেকেই শুরু করতে চাই। এখানে দারুণ স্মৃতি আছে আমাদের। ওই টেস্ট ম্যাচ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই নিয়েছি আমরা। চেষ্টা থাকবে আগামীকাল (বুধবার) সেখান থেকেই যেন শুরু করতে পারি।’
সর্বশেষ খেলা চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব-মুশফিকরা ‘রশিদ জুজু’ কাটাতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মোহাম্মদ নবীও কম যাননি। দুই ইনিংসে এই অফ স্পিনার তুলে নেন ৬ উইকেট। এবার তাদের দুজনের সঙ্গে আছেন মুজিব উর রহমান। সব মিলিয়ে এবার সাদা বলের ক্রিকেটে এই স্পিনত্রয়ীর সামনেই বাংলাদেশ দলকে পড়তে হচ্ছে।
আফগান অধিনায়কও একরকম হুঙ্কার ছাড়লেন, ‘আমাদের একটি ভালো স্পিন আক্রমণ রয়েছে। বাংলাদেশি উইকেটে স্পিন বোলিং খুব ভালো হয়। আমি আত্মবিশ্বাসী আমাদের স্পিনাররা এখানে ভালো করবে।’
বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল আফগানিস্তান দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে কিছুটা অবগত। যা কিছুটা হলেও সুবিধা দেবে আফগানদের। এ প্রসঙ্গে হাশমতউল্লাহ বলেছেন, ‘সে এখানে কোচিং করিয়েছে, এখানকার উইকেট, পিচ সম্পর্কে ধারণা আছে। এটি ছাড়া আর কোনও সুবিধা আমি দেখছি না।’
ইনজুরি কিংবা ব্যক্তিগত ছুটির কারণে গত কিছুদিন ধরেই পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না বাংলাদেশ দল। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামছে স্বাগতিকরা। দলে সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাদর মতো ক্রিকেটার রয়েছে। যদিও আফগান অধিনায়ক কোনও বিশেষ ক্রিকেটার নিয়ে ভাবছেন না বলেই জানালেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমরা পুরো দল নিয়েই চিন্তা করছি। আমরা সবার জন্য পরিকল্পনা করি। আমরা প্রত্যেকের শক্তি এবং দুর্বল পয়েন্ট সম্পর্কে অবগত।’