ঢাকা মহানগরে আতঙ্কের নাম প্রজাপতি পরিবহন ও এর নামসর্বস্ব মালিক রফিক।

0 0
Read Time:6 Minute, 7 Second

 

নিজস্ব প্রতিবেদন:কোনরকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র প্রভাবশালী কিছুলোকের নাম ভাঙিয়ে ঢাকা মহানগরের কয়েকটি রুটে চলছে অবৈধ প্রজাপতি পরিবহন। ফিটনেস বিহীন প্রায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি প্রতিদিনই চলছে ট্রাফিক আইন অমান্য করে বিভিন্ন রুটে ফলে প্রতিদিনই ঘটছে কোননা কোন দূর্ঘটনা। ইদানিং প্রজাপতি পরিবহনের দূর্ঘটনা এতোটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে নগরকে যেন বানিয়ে ফেলেছেন সাক্ষাৎ মৃত্যুকূপ।প্রজাপতি পরিবহনের নামসর্বস্ব মালিক সাবেক ছাত্রদলের নেতা কেএম রফিকের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ।
রফিক এই লাইনটি নেওয়ার জন্য একএক সময় একেকজনের নাম বিক্রি করেছে। কোন সময় সে নিজেকে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের লোক আবার কোন সময় সংরক্ষিত মহিলা এমপি দিপ্তীর লোক বলে পরিচয় দিয়ে আসছে।
নিজের মালিকানাধীন একটি গাড়ি না থাকলেও দুধর্ষ রফিক শুধু মাত্র লাইন ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। লাইনে ঢোকানোর নাম করে গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে প্রতি গাড়ি অনুযায়ী এককালীন অফেরতযোগ্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা করে নিয়েছে এবং শর্তসাপেক্ষে তাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করেছে নিজের কাছে থাকা ফিটনেস বিহীন চ্যাসিস ও ইঞ্জিন।
লাইনম্যান, ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজার নিয়গের নামে অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
পরিবহন সমিতির তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি গাড়ি থেকে দৈনিক দুইশো টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও রফিক সমিতিকে অমান্য করে প্রতি গাড়ি থেকে আদায় করে ছয়শত টাকা করে।
ঢাকার প্রতিটি গাড়িতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য হাফ ভাড়া নেওয়ার কথা থকলেও শুধুমাত্র প্রজাপতি পরিবহন এ নিয়ম মানা হয় না, এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রায়ই বিরোধ বাধে।
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের নাম ভাংগিয়ে রফিক ঢাকায় ও বরিশালে শুরু করেন অবৈধ্য কেসিনিও ও মাদক ব্যবসা। অবৈধ্য অস্ত্রধারীদের নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্য বিস্তার করতে চাইলে বিষটি সাংসদের নজরে আসে এবং মাননীয় সংসদ সদস্য রফিককে এলাকা থেকে বের করে দেন।

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ কারী কে.এম রফিক অনুপ্রবেশের আগে বিএনপির আমলে জয়নাল আবেদিন ফারুখের ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত ছিলেন এ বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য সবাই অবগত আছেন।

কালো টাকার প্রভাবে কিছুদিন আগে রফিক মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামিলীগ থেকে নমিনেশন চান এবং তাহার কু-কর্মের কথা জেনে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগে তাকে নমিনেশন দেন নি।
পরর্বতীতে সে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং বিপুল পরিমান কালো টাকা তাহার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের পিছনে খরচ করেন। কিন্তু অই এলাকার সমগ্র জনগন তাহার বিরুদ্ধে অবস্থান করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা জনাব এ.কে.এম মাহফুজুল আলমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন।

উক্ত নির্বাচনে রফিক ৫ লক্ষ ভোটের মধ্য মাত্র তিন শত ভোটের কম পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু এলাকায় তাহার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীরা জুয়া,মাদক এবং ডাকাতির মতো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে তাহার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের মেদেন্দিগঞ্জ ও হিজলা থানার পুলিশ ধাওয়া করলে তারা ঢাকা চলে আসে এবং সে তাহার সন্ত্রাসী বাহিনীদের কে তার বিহঙ্গ ও প্রজাপতি নামক পরিবহনের ভিভিন্ন রুটে সুপারভাইজার ও লাইন ম্যান হিসেবে পদায়ন দিয়ে পরিবহন চাঁদাবাজী করান। ঢাকার যাত্রী সাধারণ প্রজাপতি পরিবহন ও রফিকের সন্ত্রাসীদের কাছে এক প্রকারে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তাঁরা সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে প্রজাপতি পরিবহনের রুট পারমিশন বাতিলের দাবি জানান, এবং তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাসী রফিকের বিচারের দাবি জানান।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %