সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, দুর্নীতি করলে কেউ পার পাবে না, সে যেই হোক। এ ব্যাপারে আমাদের দল অথবা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ছাড় নেই। অতীতে শৃঙ্খলা বা অনিয়ম করলে আওয়ামী লীগ কাউকে ছাড় দেয়নি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অনেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি করছেন। সরকার বিষয়টিকে কিভাবে দেখছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। তিনি যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, এখানে যদি কোন অপকর্মে তার সংশ্লিষ্টতা থাকে; তদন্তে যদি সেটা প্রমাণ হয় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করবেন না বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী যদি মনে করেন নতুন মুখ আসবে, তাহলে মোস্ট ওয়েলকাম।
তিনি বলেন, দলে আমাদের সভাপতি যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা বড় বিষয়। সাধারণ সম্পাদকের পদে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। কারণ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে আসলে কিছু হবে না।
কাদের বলেন, কে সাধারণ সম্পাদক হবেন সেটা নির্ভর করে নেত্রীর উপর, তিনি নতুন কিছু ভাবতে পারেন। নেত্রী আমাকে যদি বলেন তুমি দায়িত্ব পালন করো, তাহলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। তিনি ইচ্ছে করলে যদি বলেন থাকতে, তাহলে থাকবো। আর তিনি যদি বলেন দায়িত্বে পরিবর্তন হবে তাহলে সেটা হতে পারে। ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত এলে স্বাগত জানাবো।
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতীতের দুর্নীতি ও লুটপাটের ইতিহাস ভুলে গেছেন। দুর্নীতি এবং লুটপাটের জন্য তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কি অবস্থা হয়েছে সেটা কি তারা একটুও চিন্তা করেন না?