অনলাইন ডেস্ক:
ছবিটি দেখলে আপনি প্রথমে চমকে উঠবেন। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি যাকে ফুটবল বিশ্ব ভদ্রলোক হিসাবে জানে, একজন ভালো স্বামী, ভালো বাবা হিসাবে জানে, তার মুখোশেই লুকিয়ে আছে এতো কুৎসিত ঘটনা। যিনি কিনা একজন নারী সর্বনাশকারী।
কিন্তু পুরো ঘটনা জানলে আপনার ভুল ভাঙবে। বুঝতে পারবেন, এই মেসি আসল মেসি না, এটা নকল মেসি।
তার নাম রিজা পেরেস্তেস হলেও তার পরিচয় ‘ইরানি মেসি’ হিসেবে। কারণ একটাই, ইরানের এই যুবক দেখতে হুবহু আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির মতো। হুবহু মেসির মতো দেখতে হওয়ায় ঝামেলাও পোহাতে হয়েছে রিজা পেরেস্তেসকে। নিজ দেশেই গ্রেফতার পর্যন্ত হতে হয়েছে পুলিশের হাতে, যেতে হয়েছে কারাগারে।
এবার জানা গেল, মেসির চেহারা কাজে লাগিয়ে নারীদের ফাঁদে ফেলছেন ইরানের ওই ব্যক্তি। কেবল তাই নয়। সেই সম্পর্ক গড়াতো বিছানা পর্যন্ত। এভাবে অন্তত ২৩ জন নারীকে শয্যাসঙ্গী করেছেন ওই ব্যক্তি। সেটাও মাত্র দুই বছরের মধ্যে।
২০১৭ সালে ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সির কল্যাণে আলোচনায় আসেন পেরেস্তেস। তাকে নিয়ে মেহের নিউজ এজেন্সি থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। ইরানের বিজ্ঞাপনের বাজারেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ওই যুবক। তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চুক্তিও হয়।
এখানেই শেষ নয়। হুবহু মেসির মতো দেখতে হওয়ায় রাস্তায় বের হলে পেরেস্তেসকে দেখে লোকজন রীতিমতো দ্বিধায় পড়ে যেত। এমনকি নিজ দেশের লোকজন পেরেস্তেসকে মেসি মনে করে তার সঙ্গে সেলফি তোলার আবদারও করত। তার সঙ্গে দেখা করার জন্য হাজির হতো যে, ইরানের হামেদান শহরে রীতিমতো যানজট লেগে যেত। সেই সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগান পেরেস্তেস।
ইরানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরিচিতির পর থেকে মেসির মতো চুল ও দাড়ি ছাঁটা শুরু করেন পেরেস্তেস। এরপর নিজের দেশের নারীদের ফাঁদে ফেলার জাল বেছাতে শুরু করেন তিনি। সম্পর্ক গড়ে নারীদের শয্যাসঙ্গী করতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি।
এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ‘ইরানি মেসি’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রিজা পেরেস্তেস। তার দাবি, মানুষের কাছে ভাবমূর্তি কলুষিত করার জন্য তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে।