দেশের সব ব্যাংকের পর এবার নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (২৭ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচে সর্বোচ্চ যত্নবান হতে হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দকৃত অর্থের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে। বর্ণিত খাতসমূহে বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনও খাতে পুনঃউপযোজন করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ব্যাংকগুলোর জন্য এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে ব্যাংকগুলোকে সাশ্রয়ী হওয়ার কথা বলে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোকে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পেট্রল, ডিজেল, অকটেন, গ্যাস, লুব্রিকেন্ট বাবদ বরাদ্দ অর্থের ১০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কমাতে হবে আরও ১০ শতাংশ খরচ। তাতে জ্বালানি বাবদ আগামী এক বছরে ব্যাংকগুলোকে ২০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে।
একইভাবে সাশ্রয়ী হতে হবে বিদ্যুৎ খরচের ক্ষেত্রেও। আগামী এক বছরে প্রতিটি ব্যাংককে এই খাতে খরচ ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। চলতি বছরের বাকি ছয় মাস ও আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসে আনুপাতিক হারে (অর্থাৎ সাড়ে ১২ শতাংশ করে) এ খরচ কমাতে হবে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে ব্যাংকগুলো যে অর্থ সাশ্রয় করবে, তা অন্য কোনও খাতে ব্যবহার করা যাবে না। এ দুই খাতে খরচ কমানো সংক্রান্ত তথ্য ও দলিলপত্র ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য ও দলিলপত্র দেখতে চাইলে তা সরবরাহ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে, তা বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনেও প্রকাশ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং আগামী বছরের ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরতে হবে।