ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরিস্থিতি গড়ালো ১১ তম দিনে।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তবে এর আগে শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বেসামরিক জনগণকে সরিয়ে নিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলো রাশিয়া কিন্তু ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও রাশিয়া তা মানছে না বলে অভিযোগ করছে ইউক্রেন। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) রাতে কিয়েভ থেকে দেওয়া আবেগপূর্ণ ভাষণে তিনি বলেন, ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার আক্রমণের ‘ধাক্কা’ সহ্য করতে পেরেছে। এবার রুখে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের সময় এসেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, “আপনাদের বাইরে বেরিয়ে এসে আমাদের শহরগুলো থেকে এই অশুভকে তাড়াতে হবে।”
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেওয়ার পাশাপাশি জেলেনস্কি ইউক্রেনকে আরো যুদ্ধবিমান দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে অনুরোধ জানান। মার্কিন কর্মকর্তারা ন্যাটো মিত্র পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেনকে বেশ কয়েকটি সোভিয়েত আমলের মিগ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিনিময়ে পোল্যান্ডকে মার্কিন এফ-১৬ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১২ লাখের মতো মানুষ দেশ ছেড়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে ৪০ লাখ নাগরিক ইউক্রেন ছাড়তে পারে। তবে তাদের আশ্রয় দিতেও ইউরোপ প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভ ছেড়ে এসব নাগরিক ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় প্রবেশ করছে।
উল্লেখ্য, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই দেশটিতে হামলা শুরু করে রুশ সৈন্যরা। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের ডনবাস প্রদেশে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ‘সেনা অভিযান’ পরিচালনার ঘোষণা দেন পুতিন।
সূত্র :বিবিসি