অবশেষে সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মোশাররফ রুবেলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
দীর্ঘদিন ধরে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। ফাইল ছবি
মঙ্গলবার হুট করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রুবেলকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালে রুবেলের মস্তিস্কে টিউমার ধরা পড়ে। এরপর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা গ্রহণের পর বেশ খানিকটা সেরে উঠেছিলেন। ক্রিকেটে ফেরারও চেষ্টা করেছিলেন। তবে করোনা মহামারীতে থমকে যায় রুবেলের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম। এ সময় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে টিউমার।
নতুন করে টিউমার ধরা পড়ার পর অবশ হয়ে যায় রুবেলের শরীরের এক পাশ। গত কয়েক মাস তাই হাসপাতালের বিছানায় কাটাতে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর কেবিনে রাখা হয় তাকে। চিকিৎসা নিয়ে অনেকটা সুস্থ অবস্থায় রুবেল বাসায় ফেরেন ১৫ এপ্রিল।হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মোশাররফ রুবেল
তবে বাসায় থাকা অবস্থায় হুট করে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। টিউমারের জটিল চিকিৎসা কার্যক্রমের কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। খাওয়াদাওয়াও ঠিকমত করতে পারছিলেন না। শেষপর্যন্ত হার মানতে হল মৃত্যুর কাছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় তার, চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে খেলেন নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটেও যথেষ্ট সফল একজন ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১২ ম্যাচ খেলে তার ঝুলিতে ছিল ৩৯২ উইকেট। ব্যাট হাতে দুইটি শতক ও ১৬টি অর্ধশতকে ৩৩০৫ রান তার সংগ্রহে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি।
মোশাররফ রুবেলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে বর্তমান কাগজ।