শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচটির ভাগ্য নির্ধারিত হলো সুপার ওভারে। স্নায়ু চাপের এই ম্যাচে অবশেষে কিউইদের মাত্র ১ রানে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড।
রোববার (১৪ জুলাই) অসাম্যান্য লড়াই করে অবশেষে জয় ছিনিয়ে নিল ইংলিশরা। এর আগে শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। তাতে স্কোর দাঁড়ায় ২৪১। রান টাই হওয়ার খেলা গড়ায় সুপার ওভারে
তীরে গিয়ে তরী ডোবার অবস্থা হয় ইংল্যান্ডের। জয়ের জন্য শেষ ১০ বলে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। এমন অবস্থায় জেমি নিশাসের ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ট্রেন্ট বোল্টের ক্যাচে পরিণত হন। কিন্তু ক্যাচ তালুবন্দি করে ব্যালেন্স রাখতে পারেননি বোল্ট।
তার পা বাউন্ডারি রশি স্পর্শ করলে আম্পায়ার ছক্কার নির্দেশ দেন। তখন বেন স্টোকস আউট হলে ম্যাচের ভাগ্য অন্যরকম হতে পারত।
তারপরও খেলায় ছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। প্রথম দুই বল ডট দেন ট্রেন্ট বোল্ট। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকান বেন স্টোক। তার পরের বলে ডাবল রান নেয়ার চেষ্টা করেন বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডার সঠিক জায়গায় বল থ্রো না করায় অতিরিক্ত আরও চার রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
শেষ দুই বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। পঞ্চম বলে রান আউট হন আদিল রশিদ। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। বেন স্টোকস ও মার্ক উড দৌড়ে সেই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন বেন স্টোকস।
রোববার ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী লর্ডস স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড।