মঙ্গলবার (১১ জুন) একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরিফুজ্জামান বলেন, নুসরাত হত্যার মূল মামলা বাদ দিয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে করা সাইবার ক্রাইম মামলা নিয়ে বেশি তোড়জোড় শুরু হয়েছে। মূল আসামিদের অনেকেই এখনও গ্রেফতার হয়নি। ২৬ মে ওয়ারেন্ট জারির পর আর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নি ভাই। আগে নিয়মিত কথা হতো। এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন- জানি না।
আরও পড়ূনঃ ৫০০ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে পুলিশের সহকারী পরিদর্শক প্রত্যাহার
যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সে বিষয়ে আরিফুজ্জামান বলেন, নুসরাতের যে ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে, সেটি ভাই প্রকাশ করেনি। অন্য একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছে।
তিনি বলেন, এই অপরাধে সাইবার ক্রাইমের মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ ওই ভিডিওটিই নুসরাতের দেয়া বড় ডকুমেন্ট। যার ভিত্তিতে ভাই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার করেছিল। যার জন্য ভাইকে পুরস্কৃত করা উচিত ছিল। সেটি না করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
ওসি মোয়াজ্জেমের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী উম্মেহানি দাবি করেন, নুসরাতের শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িতদের আটক করা সহজ ছিল না। ভাই সেটি করতে পেরেছিলেন নুসরাতে বক্তব্যের ভিডিওর ভিত্তিতে। তিনি সেফটি ডকুমেন্ট হিসেবে ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন। টেবিলের ওপর ফোন রেখে বাথরুমে গিয়েছিলেন। এই ফাঁকে তার মোবাইল থেকে ভিডিওটি হস্তান্তর হয়েছিল।