রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান এলাকা থেকে পাচারকালে গত ৩ দিনে ৪ কিশোরীকে (স্কুল শিক্ষার্থী) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে এক নারীকে। চাঁদনী (৩০) নামে গ্রেফতার ওই নারী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের সুরুজ আলীর স্ত্রী।
রাজশাহী মহানগরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জানান, গত ২৬ জুলাই সকালে ৪ কিশোরী (স্কুল শিক্ষার্থী) স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু বিকালে তারা বাড়ি ফিরে না এলে অভিভাবকরা খোঁজ-খবর শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানান, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ওই চার কিশোরীকে মহিষবাথান কলোনির উত্তর পাশের গেট দিয়ে যেতে দেখেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারেন চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর ফিরে আসে। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা, আসামি চাঁদনীসহ তার সহযোগীরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে। এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
তিনি আরও জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এস আই সজীবুল ইসলাম ও তার টিম অভিযান শুরু করে। ওই টিম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সাভার মডেল থানার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে সাভার মডেল থানার সহায়তায় চাঁদনীকে গ্রেফতার এবং ৪ কিশোরীকে উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে চাঁদনী যৌন কার্যকলাপের জন্য কিশোরীদের পাচারের কথা স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।