বেসরকারি সংস্থা আদ্রার আড়াই লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা ও আল মারকাজুল ইসলামের তৈরি করে দেয়া টি শার্ট-ব্যানার দিয়েই রোহিঙ্গারা সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এ সমাবেশের নেপথ্যে কাজ করেছে রোহিঙ্গাভিত্তিক ৩টি সংগঠন এবং বিভিন্ন পেশার ৭ ব্যক্তি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য।
তবে নাগরিক সমাজ বলছে, সরকারি বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়হীনতার কারণেই এ ধরনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহিবুল্লাহ’র নেতৃত্বাধীন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস সমাবেশে মূল ভূমিকা পালন করলেও নেপথ্যে ছিল সিরাজুল মোস্তফা এবং সাইফুল হকের রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটি ও ভয়েজ অব রোহিঙ্গা নামে আরো দু’টি সংগঠন।
১৯ এবং ২১ আগষ্ট দু’দফা বৈঠক শেষে এনজিও সংস্থা আদ্রা রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহকে আড়াই লাখ টাকা দেন। এছাড়া আল মারকাজুল ইসলাম তৈরি করে দেয় হাজার হাজার টি-শার্ট ও ব্যানার। এছাড়া পুলিশের এএসআই বোরহান টি-শার্ট এবং ব্যানার তৈরিতে সহযোগিতা করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
তবে টি-শার্ট ও ব্যানার তৈরিতে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন কক্সবাজার শাহ মজিদিয়া প্রিন্টার্সের সত্ত্বাধিকারী নুরুল হক।
তদন্ত প্রতিবেদনে মহিবুল্লাহ’র নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির সাত শীর্ষ নেতাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে আইনজীবী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও রয়েছেন। পুরো বিষয়টি উদ্বেগজনক ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকেই দুষছে কক্সবাজারের নাগরিক সমাজ।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে দেশ ছাড়ার দ্বিতীয় বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৫ আগষ্ট উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ডি ফোর ক্যাম্পে সমাবেশের মাধ্যমে বড় ধরণের শোডাউন করে রোহিঙ্গারা। এরপরই শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে দায়িত্বরত ৭ জন ক্যাম্প ইনচার্জকে বদলি করা হয়।