তিনি আরো বলেন, পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বঙ্গাব্দের প্রথমদিন বা বাংলা নববর্ষ। তাই পহেলা বৈশাখ বাঙালির মহাঐক্যের দিন। ধর্ম, বর্ণ, জাত বা গোত্রের সীমারেখা ভেঙে পহেলা বৈশাখের উৎসব আয়োজন আমাদের একপথে চলতে সাহসী করে। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সুন্দর ও কল্যাণের জয়গানে শুভ পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, পুরোনো, জরাজীর্ণ ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলতে পহেলা বৈশাখ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। ব্যর্থতার গ্লানি মুছে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উজ্জ্বল আলোর রথে চলতে শেখায় পহেলা বৈশাখ।
আজ পুরো বাংলাদেশে পালন করা হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ২০২২। দীর্ঘ একটি বছর পর বাংলাদেশের বাঙালি আবারো ফিরে পেয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৯। এই দিনটি উপলক্ষে সকলে নানান আয়োজন এর মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নানা রকম আয়োজন এর মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়। সর্বপ্রথম বাংলা নববর্ষের ইতিহাসে ১৯১৭ সালে এটি পালন করা শুরু করা হয়। পরবর্তীতে এই দিন উপলক্ষে সকল যুবক-যুবতী পহেলা বৈশাখের শাড়ি ও পাঞ্জাবী পড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে।
বাংলার বেশিরভাগ মানুষের পহেলা বৈশাখ নিয়ে রয়েছে দারুণ শৈশব। কারণ আমরা ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের আশেপাশে বড় মাঠে পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিশাল আয়োজন বসতো। যেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরো দিন বাংলা নববর্ষ পালন করা হতো। কেউ উঠতো নাগর দোলায় আবার কেউবা টাকা দিয়ে পান্তা ইলিশ খেত। অন্যদিকে এই দিনটি উপলক্ষে সবাই একজন আরেকজনকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা পাঠাতো। অনেক ছেলেমেয়ে নিজের গালে শুভ নববর্ষ অস্থায়ী ট্যাটু একে পহেলা বৈশাখের মাঠে ঘোরাঘুরি করতো।
তাই এই নববর্ষ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা বাসীকে জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
নতুন আশা নতুন প্রান,নতুন সুরে নতুন গান।
নতুন জীবনের নতুন আলো,নতুন বছর কাটুক ভালো। শুভ বাংলা নববর্ষ