ওই কিশোরী টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললেই তিনি ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট তিনি ওই কিশোরীকে টয়লেটে আটকে রেখে শ্লীলতাহানি করেন।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটের মধ্যে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ওই ট্রেনের ‘ঝ’ বগির টয়লেটে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনযাত্রীরা ওই বখাটেকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আটক যুবকের নাম মমিনুল ইসলাম (২৭)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার থানাতলা এলাকায়। মমিনুল পেশায় রাজমিস্ত্রি।
এ বিষয়ে রাজশাহী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, সিরাজগঞ্জের শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে নানী ও খালার সঙ্গে ট্রেনে উঠে ওই কিশোরী। ট্রেনটি ঈশ্বরদী বাইপাস পৌঁছালে ওই কিশোরী টয়লেটে যায়। এ সময় জোর করে ওই টয়লেটের মধ্যেই ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত যুবক মমিনুল। এক পর্যায়ে তার মুখ চেপে ধরে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে টয়লেটের দরজার সামনে ভিড় করেন ট্রেন যাত্রীরা। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর দরজা খুলে মমিনুল। এ সময় তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
পরে ট্রেনে কর্তব্যরত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল গিয়ে ট্রেন যাত্রীদের হাত থেকে তাকে আটক করেন। এরপর তাকে আটকে রাখা হয়। ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছালে তাকে জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক যুবক মমিনুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তার কথাবার্তাও অসংলগ্ন। যেহেতু ঘটনাটি ঈশ্বরদী জিআরপি থানার অধীনে ঘটেছে তাই তার বিরুদ্ধে ওই থানাতেই মামলা করা হবে। এ কারণে রাতের ফিরতি ট্রেনে আসামিকে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর খালা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করবেন বলেও জানান জিআরপি থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।