জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতারা। শনিবার (২৩ জুলাই) তার মৃত্যুসংবাদ আসার পরই বিভিন্ন দলের নেতারা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
শোকবাণীতে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এমপি গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ফজলে রাব্বী মিয়া একজন আদর্শ মানুষ এবং দেশপ্রেমিক, ত্যাগী ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।’
এক যুক্ত শোকবাণীতে বি. চৌধুরী ও মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, ‘ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে আমরা মর্মাহত হয়েছি। তার মৃত্যুতে জাতি এক শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারালো।’
ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। শোকবার্তায় প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ফজলে রাব্বী মিয়া’র অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দেশ এক গুণী রাজনীতিবিদকে হারালো।’
একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভাণ্ডারী। শোকবার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, ফজলে রাব্বি মিয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে কাজ করেছিলেন, তাছাড়া তিনি বাষট্টির হামিদুর রহমান প্রণীত কুখ্যাত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
‘ফজলে রাব্বী বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন’ উল্লেখ করে সাইফুদ্দীন বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা এদেশের মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি উল্লেখ করেন, গাইবান্ধা জেলায় তার সংসদীয় আসন এলাকায় তিনি ছিলেন খুবই জনপ্রিয়, ৭ বার তিনি সংসদ সদস্য হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি ছিলেন মানবিক, সদা হাস্যোউজ্জল ও মহৎ মনের অধিকারী।’