দেশে বছরে প্রায় দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ রক্তের বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্বিবিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে এক ওয়েবিনারে বক্তরা এ তথ্য জানান।
ক্যান্সার সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি এ দিবসটি পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো- ‘সেবার সীমাবদ্ধতা কমিয়ে আনা।’
বক্তারা জানান, নন হজকিন ও হজকিন লিম্ফোমা, লিউকেমিয়া, মায়েলোমা রক্তের ক্যান্সারের অন্তর্গত। ধরন ভেদে চিকিৎসায়ও ভিন্নতা হয়ে থাকে এবং রোগের পর্যায় বা ঝুঁকি বিবেচনা করে রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। রক্তের অনেক ক্যান্সারের ক্ষেত্রেই সুচিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ভালো থাকা যায়।
হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার সালাউদ্দিন শাহ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ এর ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সারমুক্ত দেশ গড়তে চায় সরকার। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করছেন। দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। কোনো রোগী যেন চিকিৎসার জন্য বিদেশে না যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।’
অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ বলেন, ‘রোগীদের রেজিস্ট্রি তৈরি, রোগীরা যেন সহজে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে পারেন এবং হেমাটোপয়েটিক সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন-সহ ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বাধুনিক সুবিধাদি সহজলভ্য করা যায় সে ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।’
সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভিসি অধ্যাপক ডা. ছয়েফউদ্দীন আহমেদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, হেমাটলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম ইউনুস, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুজ্জামান খান ও ডা. আমিন লুতফুল কবির।
এছাড়া হেমাটোলজি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মিলি দে, ডা. মারুফ রেজা কবির, ডা. স্বরূপ চন্দ্র পোদ্দার ও ডা. নাজিয়া শারমিন সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. মুজাহিদা রহমান ও রেসিডেন্ট ডা. কাজী ফজলুর রহমান।