রিফাত রাহুল খাঁন:এ প্রজন্মেরঅভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম মিম চৌধুরী।২০১৩ সালে ‘ম্যাঙ্গোলি নাচো বাংলাদেশ নাচো’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হন। ব্যস, সেই থেকেই স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু। একেবারে প্রথমেই তিনি মাহফুজ আহমদের পরিচালনায় তারই সঙ্গে ‘সরীসৃপ’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপর গুণি অনেক অভিনেতার বিরীতে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে তার।এমনকি চিত্রপরিচালক সাফি উদ্দিন সাফির পরিচালনায় শাকিব খানের সঙ্গে ‘ভালোবাসা এক্সপ্রেস’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন। এরপর মনের মতো গল্প আর চরিত্র না পাওয়ায় মিমকে সিনেমার রূপালি পর্দায় দেখা যায়নি। তবে সিনেমায় প্রবল আগ্রহ আছে তার।এদিকে গেলো ২১ মার্চ থেকে একুশে টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে মিম চৌধুরী অভিনীত ও সকাল আহমেদ পরিচালিত নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘খানবাড়ি বাড়াবাড়ি’। এই বাড়ির একজন কইন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিম। তিনি উপস্থাপনায়ও বেশ সুনাম কুঁড়িয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি সেরা নাচিয়ের এবং ২০১৭ সালে ক্ষুদ গানরাজের উপস্থাপনা করে বেশ প্রশংসিত হন। উপস্থাপনায় ব্যস্ত রাখার চেষ্টাটা থাকে তারমাঝে। বর্তমানে নাচ নিয়েও বেশ ব্যস্ত রয়েছেন।মিম চৌধুরী তার বর্তমান কাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার লক্ষ্যই হচ্ছে একজন অভিনেত্রী হওয়া। আমার অভিনয় দেখে দর্শক যেন বলেন মেয়েটি ভালো অভিনয় করেন। আমার বিশ্বাস পরিচালকদের সহযোগিতায়, সহশিল্পীদের আন্তরিকতায় আমি একদিন ঠিকই আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’অভিনয়ে কিংবা শোবিজের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স পড়ছেন দ্বিতীয় বর্ষে মিম চৌধুরী। তিনি মনে করেন, অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাটাও ভীষণ জরুরি। এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, ‘মেধা যতই থাকুক, মানুষের জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা জরুরি। যদি সুযোগ থাকে সবারই উচিত সেটাকে প্রায়োরিটি দেয়া। কারণ মেধার পরিস্ফুটন ঘটাতে হলে অথবা নিজের মেধা কাজে লাগাতে হলে অবশ্যই শিক্ষা লাগবে।’
বহুপ্রতিভার অধিকারী মিম চৌধুরী
Read Time:3 Minute, 5 Second