0
0
রিফাত রাহুল খাঁন:ফারজানা রহমান ইপ্সিতা একজন প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট। তার জীবনবৃত্তান্ত উঠে এসেছে বাংলা নিউজপির বিনোদন প্রতিবেদনে-তিনি জানান;শৈশব থেকেই আমি পেইন্টিং ও গান করতাম। এগুলির যে কোনওটির সাথে কিছু করা আমার স্বপ্ন ছিল। আইইউবি থেকে বিবিএ শেষ করার পরে আমি আমার স্বামীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি। খুব প্রথম দিকে আমি এখানে সৃজনশীল কিছু করার চেষ্টা করছিলাম। আমার বাবা-মায়ের সহায়তায় আমি আমার মেকআপ ডিপ্লোমা শুরু করি। ২ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করার পরে লুবানা রফিক, মারিও, বেনির মতো খ্যাতিমান মেকআপ শিল্পীদের সাথে আমি অনেক কোর্স করেছি।আমি যখন বাংলাদেশ পরিদর্শন করি তখন আমি আমার নিজস্ব টিভি শো “এপশিটার পরিবর্তন” করেছি যা এটি হিট হয়েছিল এবং সেই সময়ের সমস্ত টিভি বিউটি শোয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। “বুলবুল টুম্পা, আজরা মাহমুদ, সানিয়া সুলতানা লিজা সহ বিভিন্ন সেলিব্রিটি আমার অতিথি ছিলেন। আমার শো ছাড়াও, আমি চ্যানেল আইতে অভিনেতা ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে একটি টক শোও করেছি, এবং আমার তানিয়া আন্টির সাথে আরও একটি টক শোতে লিগিয়ান হারবালের চেয়ারম্যান হিসাবে ইটিভিতে গিয়েছিলাম, যেমন আমি সেই ছোট সময়কালে অনেকগুলি অনুষ্ঠান করেছি। । আমি ফিরে এসে বলিউড অভিনেত্রী “পূজা বাতরা” এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ফ্যাশন শো এবং ম্যাগাজিনের সাথে কাজ করেছি।গত বছর নভেম্বরের সময় আমি আন্তর্জাতিক মেকআপ শিল্পী হওয়ার জন্য একটি পুরষ্কার পেয়েছিলাম। যা আমার কেরিয়ারের জন্য একটি বড় অর্জন ছিল। এটি “আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য শিল্প” দিয়েছিল। বর্তমানে আমি বেনির সহকারী হিসাবে কাজ করছি।
যখন আমি লিওনা রহমানকে জানালাম যে একজন খুব সুপরিচিত বিউটি ব্লগার এবং বাংলাদেশের একজন মেকআপ শিল্পী, যিনি আমার একজন ছাত্রও ছিলেন, আমি এই বিচ্ছিন্ন সময়ের মধ্যে বাংলাদেশী সৌন্দর্য শিল্পের (beauty industry)!জন্য কিছু করতে চাই এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক শংসাপত্র(international certificates) দেওয়ার অনুমতিও আমার কাছে রয়েছে। প্রথমে লিওনা এবং আমি ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য পরিকল্পনা করছিলাম তবে এটির জন্য কিছু প্রশিক্ষণের প্রয়োজন যা আমি সরাসরি যাচ্ছিলাম কেবল তখনই online পার্লার, স্টুডিও বা এমনকি ফ্রিল্যান্সিং করার পরিকল্পনা করছেন।আমরা যারা মেকআপ সম্পর্কে যারা শিখতে চায় তাদের জন্য এই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম, প্রথমে এটি শক্ত(hard) ছিল কারণ এটি কীভাবে চলবে তা নিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত(curious) ছিল, তবে আল হামদুলিল্লাহ এখন আমি গর্বিত বোধ করছি যে আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি।আমার বর্তমান শিক্ষার্থীরা খুব ভাল করছে, এবং তারা আমাকে বলেছে যে আমি মেকআপ সম্পর্কে তাদের ধারণা পরিবর্তন করেছি। লিওনা এবং আমি এই অনলাইন ক্লাসগুলির মাধ্যমে আমাদের সেরাটি দেওয়ার চেষ্টা করছি। এবং ইন শাআল্লাহ আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কখনই হতাশ করব না কারণ আমরা চাই যে তারা তাদের স্বপ্ন সম্পর্কে শিখুক। মেকআপ করা সহজ তবে গভীরতার সাথে জানা শক্ত। এটিই আমরা সরবরাহ করছি। আমি আমার মেকআপ স্কুল “এলিজাবেথ গ্রেডি” দ্বারা “মেকআপ বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক” হিসাবে এই কেরিয়ার শুরু করার অনুমতি দিয়েছি এবং এটি বাংলাদেশের প্রথম “আন্তর্জাতিক অনলাইন মেকআপ ক্লাস”।
