বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান-পাকিস্তানের অবস্থায় যাবে না: হানিফ

0 0
Read Time:6 Minute, 22 Second

বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে বর্তমান শ্রীলঙ্কার অবস্থায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‌‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস শিল্প ও কৃষি। বর্তমানে এ তিনটি খাত ভালো অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রগতিশীল চিন্তা ধারার। তাই কখনও বাংলাদেশ বর্তমান শ্রীলঙ্কা বা আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো অবস্থায় যাবে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৩ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি। বিএনপির সৃষ্টি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার আশির্বাদে। উন্নয়ন নয়, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডই তাদের প্রধান কাজ।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা একাত্তরের পরাজয়ের চরম প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ৩ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিল। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে শাহ আজিজুর রহমানের মতো স্বাধীনতাবিরোধীকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। পাকিস্তানের পরামর্শে আবদুল আলীম, মাওলানা মান্নান ও রজব আলীর মতো স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে কেবিনেট গঠন করেছিলেন।’

হানিফ বলেন, ‌‘দেশে সেতু হতেই পারে। তবে পদ্মা সেতুতে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ মিশ্রিত। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। বিএনপি ও ড. ইউনূসের ষড়যন্ত্রে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও সাহসী পদক্ষেপের কারণে এ সেতু আজ উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে।’

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরায় দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে, জাতি হিসেবে বাঙালিকে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়। তবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ নিরাপদ, বাংলাদেশ মানুষ নিরাপদ থাকবে। সে কারণেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতায়ু কামনা করেন এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পরেও যাতে তিনি সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররাফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং ও মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত ডিনবৃন্দ, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *