বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে সুশাসন, আগামী নির্বাচন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রীতিমতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ক্ষেত্রে যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখে। তাছাড়া তার রাষ্ট্রহীন অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশের ওপর মার্কিন প্রভাব আগের চেয়ে অনেক বাড়বে। তবে এটি যে শুধুমাত্র মার্কিন প্রভাব এমনটি নয়। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত বাংলাদেশ নিয়ে অভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত। দুইটি দেশই মনে করে যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে এখনই নজরদারি দেওয়া দরকার এবং এই নজরদারি না দিলে বাংলাদেশে কতগুলো বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে দুটি দেশ অভিন্ন মতামত পোষণ করে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো চীনের আধিপত্য। মূলত বাংলাদেশে চীনের অর্থনৈতিক বিস্তার ঠেকাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের অভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই কৌশলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন রকম উপদেশ, নির্দেশ দিচ্ছে কিন্তু পেছনে কলকাঠি নাড়ছে আসলে ভারতই। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি দেশই মনে করে যে, বাংলাদেশে যদি চীনের আধিপত্য বাড়ে তাহলে সেটি এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে একটা বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে। এছাড়াও দুই দেশের আরো কিছু অভিন্ন বিষয় রয়েছে। তা হলো- ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, উগ্রবাদীদের উত্থান। ভারত মনে করে যে, বাংলাদেশের ওপর যদি নজরদারি না রাখা হয় তাহলে এখানে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে পারে এবং সে উত্থানটাকে ঠেকাতে হবে। সেজন্য কৌশলগত একটি সমঝোতা দরকার। আর এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অস্ত্র কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে শক্তিশালী করার ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ দেখিয়েছে।