বার্লের ঝড় শেষে নাগালেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জ

0 0
Read Time:5 Minute, 34 Second

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ১-১ সমতায়। শনিবার প্রথম ম্যাচ ১৭ রানে হারের পর রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় বাংলাদেশ দলের। আজ মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। হারারেতে আগে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে শুরুতে ধুকলেও পরে রায়ান বার্লের ঝড়ো ফিফটিতে ১৫৬ রানে সংগ্রহ করেছে। সিরিজ জিততে টাইগারদের চাই ১৫৭ রান।

মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অধিনায়ক বদলালেও টস ভাগ্যের পরিবর্তন আসেনি বাংলাদেশ দলের। আগের দুই ম্যাচের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের মতো এদিনও টস হারেন নতুন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আগে বল হাতে তুলে দিতে হয় সফরকারীদের। তবে শুরুতে সেই আক্ষেপ বুঝতে দেননি স্পিনাররা। পরে বার্লের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ফলে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট পেয়েছে বাংলাদেশ।

সিরিজ নির্ধারণী অলিখিত ফাইনালে ব্যাট হাতে ভালো শুরু পায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ৩ ওভারে তুলে নেয় ২৯ রান। যেখানে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক মোসাদ্দেক একাই দেন ১৫ রান। ঝড়ো শুরুর আভাস দেওয়া চাকাভাকে ফিরিয়ে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ব্রেক-থ্রু এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। আউটসাইড অফের বল মারতে গিয়ে কাভারে আফিফ হোসেনের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়ে ১০ বলে ১৭ রান করে ফেরেন ওপেনার চাকাভা।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জোড়া আঘাত মেহেদীর। ওয়েসলে মাধেভেরেকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান মাত্র ৫ রানে। এর রেশ না কাটতেই শিকার নতুন ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা। আগের দুই ম্যাচেই ফিফটি করে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন রাজা। এবার তাকে সেই সুযোগ দেননি মেহেদী। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরান এই অলরাউন্ডারকে। তার ঘূর্ণিতে পাওয়ার প্লে শেষে দুর্দান্ত বাংলাদেশ।

৬ ওভারে ৪৫ রান তুললেও ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া স্বাগতিকরা পরে খেই হারায় বাংলাদেশ দলের বোলারদের নিয়ন্ত্রিং বোলিংয়ে। পরে দলীয় নবম ওভারে এসেই উইলিয়ামসকে ফেরান মোসাদ্দেক। এই ওভারে মাত্র ৫ রান দেন এই অফ স্পিনার। ব্যক্তিগত ২ রানে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন উইলিয়ামস।

পরের ওভারেই সাফল্য আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাত ধরে। প্রথমবার আক্রমণে এসে উইকেটের দেখা পান তিনি। তাতে অবদান উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের। দারুণ স্টাম্পিংয়ে ক্রেইগ আরভিনকে ফেরান। একপাশে উইকেটের মিছিল হলেও আরেক পাশ আগলে রেখেছিলেন আরভিন। কিন্তু তাকে থামিয়ে দিলেন ২ ম্যাচ পর একাদশে ফেরা মাহমুদউল্লাহ। ১৩তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ ফেরান মিল্টন শুম্বাকে। আউটসাইড অফের বল খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১১ বলে ৪ রান করেন তিনি।

১৩ ওভারে ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে সেখান থেকে টেনে তোলেন রায়ান বার্ল আর লুক জংওয়েও। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ৫টি ছয় ও ১ চারের সাহায্যে নাসুমের ওভার থেকে বার্ল তুলে নেন ৩৪ রান। টি-টোয়েন্টি এটি বাংলাদেশি কোনো বোলারের সবচেয়ে খরুচে ওভার। এর আগে ২০১৯ সালে মিরপুরে এই বার্ল সাকিব আল হাসানের থেকে তুলেছিলেন ৩০ রান।

পরে মাত্র ২ চার ৬ ছয়ের মাতে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন বার্ল। ২৮ বলে ৫৪ রানে থামেন তিনি। বার্লকে ফিরিয়ে ৩১ বলে ৭৯ রানের সপ্তম পার্টনারশিপ ভাঙেন হাসান মাহমুদ। জংওয়েও ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩৫ রান।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজ জিততে বাংলাদেশ দলের সামনে লক্ষ্যটা আকাশ ছোঁয়া নয়, নাগালেই আছে। এখন ঠিকঠাক ব্যাটিং করতে পারলেই হয়!

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *