অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তোলার পর তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার মামলায় এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন।
মিনহাজ বিন মাহমুদ নামে ওই যুবক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুরকৌশল হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছেন।
ভুক্তভোগী তরুণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি। পরে মিনহাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই রাশেদুল আলম আসামিকে আদালতে হাজির করে সংশ্লিষ্ট থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট উদয় কে বসাক জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা চলায় মিনহাজের সঙ্গে মেয়েটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে গোপনে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে রাখেন মিনহাজ। সেসব ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ের আগেই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ, সম্পর্ক থাকা অবস্থায় মিনহাজ গোপনে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের স্ক্রিনশট নেন। যেগুলো দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন ও জোরপূর্বক তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন