বৈশাখ আর ঈদ দুটি উৎসবেই এবারের ভিন্ন চিত্র: উওরণের পথ

0 0
Read Time:5 Minute, 22 Second

ছোটবেলা থেকেই শিল্পমনা মানুষ ছিলেন বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার ও ডিজাইনার এডলফ খাঁন বাংলা নিউজপির প্রতিবেদক রিফাত রাহুল খাঁন এর সাথে বর্তমানের সম-সাময়িক বিষয়বস্ত আলোচনা করেন। বাংলা নিউজপির বিনোদন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে-
রিফাত রাহুল খাঁন:-কোয়ারেন্টানে কিভাবে সময় কাটছে?
এডলফ খাঁন: ঘরে বসে কাটছে..নিজেকে সময় দিচ্ছি…পরিবার কে সময় দিচ্ছি..ডিজাইন করছি নতুন নতুন.. অনেকদিন পর ছবি আঁকছি..মজার বিষয়..এই কদিনে টুকটাক রান্না শিখেছি..সবার খোঁজ রাখছি..সাহায্য করছি যতটুকু সম্ভব..আগামী দিনের কাজের পরিকল্পনা করছি..নিয়ম মেনে নিরাপদে থাকছি।
রিফাত রাহুল খাঁন: করোনায় ফ্যাশনইন্ড্রাষ্টি কি কি ক্ষতির সম্মুখীন??..
এডলফ খাঁন:২. করোনা তে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে.. ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড সবাই কাজ ছাড়া বসে আছে.. গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ মানে ফ্যাশন ব্র্যান্ডফ্যাশন হাউস গুলো বন্ধ..কাপড় বিক্রি বন্ধ বলে আজ মডেল আর ফটোগ্রাফার রা বেকার.. মেক-আপ আর্টিস্ট রা বেকার! কোনো ফটোশুট এ কেউ অংশগ্রহন করতে পারেনি!ইনকাম বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন! বৈশাখ আর ঈদ এর মতো দুইটা বড় উৎসব.. যেখানে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি তে সবচেয়ে বেশি সবাই কাজ করে!! কিন্তু এবারের চিত্র করুন- একেবারে বিপরীত! এইটা কাটিয়ে উঠতে ও দীর্ঘদিন সময় লাগবে।

রিফাত রাহুল খাঁন:৩. করোনাভাইরাস এর ক্ষতি থেকে ফ্যাশন ইন্ড্রাষ্টি উওোরণের পথ??
এডলফ খাঁন:এর থেকে উত্তরণ এর পথ হলো.সবাইকে একসাথে হয়ে ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করতে হবে.আমরা সবাই এক পরিবার.সেটা ভেবেই সবাইকে সবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে! আবার সেই শুরু থেকেই শুরু করতে হবে..সবার মাঝে সমঝোতা আর একতা থাকলে হয়তো কাটিয়ে উঠা সম্ভব.আর প্রচুর শ্রম দিতে হবে..ভালো ভালো কাজ করতে হবে..কাজ দিয়েই পুরোনো দুঃখ পুরোনো আক্ষেপ ভুলতে হবে . তাহলেই হয়তো সম্ভব।
রিফাত রাহুল খাঁন:চলমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেমন ভবিষ্যৎ দেখছেন?
এডলফ খাঁন:৪. চলমান পরিস্থিতি তে শুধু আমরাই না..বিশ্বের সবাই ভবিষ্যত অন্ধকার দেখছে..কাটিয়ে উঠার পথ খুঁজছে.. এরকম হবে যেমন কেউ ভাবেনি.. আগামী তে কি হবে.সেটাও সবার অজানা!! আমরা শুধু আশা করতে পারি .. আল্লাহ কে ভরসা করতে পারি..মনোবল রেখে সামনে কিভাবে উঠে দাঁড়ানো যায়..সেটার পরিকল্পনা করতে পারি..আর বাকি সবার মতো আপাতত আমিও সেটাই ভাবছি!

 

রিফাত রাহুল খাঁন:. পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য নিজের জায়গা থেকে কি ভাবছেন?
এডলফ খাঁন:৫. আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে খুব সচেতন..সহজে মনোবল হারাইওনা.সব কিছু পজিটিভ দেখার চেষ্টা করি. আমি সবাইকে বলবো.মনোবল না হারাতে. শক্ত হয়ে মাথা উঁচিয়ে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে! এই মুহূর্তে বোকা হলে চলবে না. কাজ করার মানসিক শক্তি আর প্রস্তুতি দুইটাই রাখতে হবে।
রিফাত রাহুল খাঁন:৬. করোনা মহামারীর পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কিত কিছু বলবেন-
এডলফ খাঁন-. পরবর্তী অবস্থা সত্যি বিপদজনক !! কি আছে সামনের দিনগুলো তে সত্যি আমরা কেউ জানিনা! তবে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে আছি এখনো..আমরা আবার একটা সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর জীবন ফিরে পাবো..আবার সবাই হাসবে..বাঁচবে..কাজ করবে..অভাব দূর হয়ে যাবে . করোনা র ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে..সবাই প্রতিরোধ ক্ষমতা পাবে. এভাবে কেউ মারা যাবে না..মানুষ নিজের আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা পাবে.. সবাই সব বাজে অভ্ভাস বদলে ফেলবে..এই কোয়ারেন্টাইন থেকে যা যা শিক্ষা পেলো..সেগুলোর এর পুনরাবৃত্তি ঘটবেনা ..কারো প্রতি কেউ অন্যায় করবেনা..সবাই সবাইকে ভালোবাসবে..কদর করবে.. এমন একটা পৃথিবী দেখার প্রত্যাশায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %