দেশে তেলের বাজারে নৈড়াজ্য চলছেই। বিগত কয়েক মাসের ব্যবধানে কয়েকবার বেড়েছে তেলের দাম। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে আবাড়ও ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশে তেল চিনি ছোলা ডালসহ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা বাড়ে। ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরই এ সময় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ান। তারই প্রেক্ষিতে রমজান শুরুর আগেই সয়াবিন তেলের দাম নতুন করে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে রমজানের আগে তেলের দাম আর বাড়ানো হবে না। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে আয়োজিত পোস্ট ইনভেস্টমেন্ট সামিটে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করেছেন। তবে কত টাকা বাড়াতে চান সে দামের কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। আমরা তাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছি। রমজানের আগে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও বাড়লেও বাড়বে না। বিশ্ববাজারে যদি বাড়েও, ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব সেটা সহ্য করার জন্য।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একমাসও যায়নি আবার দাম বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। ১ মার্চ থেকে ১৮০ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল বিক্রির কথা জানিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি সরকারকে চিঠি দেয় ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।