নেইমারের থাকা না থাকা একটা সময় প্রভাব ফেলতো। ২০১৪ বিশ্বকাপেই দেখা গেছে তার অনুপস্থিতি ব্রাজিলকে কতটা ভোগাতে পারে। সেলেসাওরা সেই পথ পাড়ি দিয়ে এখন যে একটা স্বাবলম্বী দল, তা দাবি করাই যায়। অন্তত ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকাই তার উজ্জ্বল উদাহরণ। ১২ বছর পর জেতা মেজর ট্রফিটি এসেছিল প্রাণভোমরার অনুপস্থিতিতেই। তাইতো ব্রাজিল কোচ তিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছেন, ব্রাজিল এখন আর নেইমার নির্ভর নয়।
বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে আজ আরও একবার মাঠে নামছে হলুদ জার্সিধারীরা। প্রস্তুতি ম্যাচে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তাদের প্রতিপক্ষ এশিয়ার পরাশক্তি জাপান। সেই ম্যাচের আগে নেইমার প্রসঙ্গ উঠতেই ব্রাজিল কোচ বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি এই দলটার কোচ। এই সময়ে আমি অনেক ভুল করেছি। পাশাপাশি অনেক ভালো সিদ্ধান্তও নিয়েছি।’
সেই ভালো সিদ্ধান্তে যে নতুন প্রজন্মের ফুটবলার গড়ে তোলা গেছে, সেটাও দাবি করলেন তিতে, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা আসতে শুরু করেছে। একটা ভালো দিক এটাই অনেককে দিয়ে চেষ্টা করেছি। ফলে আমরা এখন আর একজনের আক্রমণের ওপর নির্ভরশীল না।’
তিতের বক্তব্যের যে সত্যতা আছে। সেটার প্রমাণ আছে এই দলটাতেই। অলিম্পিকে ব্রাজিলকে সোনা জেতানো রিচার্লিসন ও ব্রুনো গুইমারেস সিনিয়র দলে সুযোগ করে নিয়েছেন। সহকারী কোচ সেজার সাম্পাইও জানিয়েছেন, এখন দল সাজানোটা মধুর সমস্যা। সাবেক এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘এখন দলে অভিজ্ঞতার সঙ্গে জাপানে অলিম্পিক জেতা খেলোয়াড়রাও একসঙ্গে চলে এসেছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ৫-১ গোলে জেতায় ম্যাচটায় দুটি গোল ছিল নেইমারের। যার সবগুলোই ছিল পেনাল্টি থেকে। তাতে ব্রাজিলের জার্সিতে পেলের সর্বোচ্চ ৭৭ গোলের সঙ্গে ব্যবধানও কমিয়ে ফেলেছেন। পিএসজি তারকার মোট গোল ৭৩টি। এখন এশিয়ায় দুই ম্যাচের জন্য আসা ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা শেষটাও উৎসবে রাঙাতে চাইবে।