রিফাত রাহুল খাঁন:ফ্যাশন ডিজাইনার নাহরিন চৌধুরী বর্তমানে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাকের ফ্যাশন ব্রান্ড ও।কোড এর হেডওফ ইনোভেশন হিসাবে কর্মরত আছেন। কিভাবে কাটাচ্ছেন করোনা কালীন সময়? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি যা বলেন….আসলে ভবিষ্যৎ ব্যাপারটা যে একটা খুব অনিশ্চিত ব্যাপার এটা কিন্তু আমরা গুরুজনদের কাছে শুনেছি অথবা বইয়ে পড়েছি,এই পরিস্থিতিটা, আমাদেরকে দেখিয়ে দিল আমরা প্রকৃতির কাছে কতটা অসহায়। কোন দিনও কি আমারা ভেবেছি, আমরা গৃহবন্দী হব, আমরা আমাদের কাছের মানুষের কাছ থেকে দূরত্ব মেনে চলবো, কখনোই না। সুতরাং পরিস্থিতিটা আমাদের সবার কাছে যেমন খুব নতুন, তেমনি খুব বেশি অস্বস্তিকরও। প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়তে বাড়তে আজকাল কিছু পরিচিত নামও চলে আসছে।
আসলে কোয়ারেন্টাইন এ কি করছি সেটার উত্তর – ঘরে আছি পরিবারের সাথে।আমার মেয়ের বয়স ৭ বছর।মেয়েকে সময় দিতে যেয়ে যেটা বুঝলাম, ওর এই ৭ বছরে ওকে এতসময় একটানা দেখিনি। ওর ছোট্ট ছোট্ট ভাবনা ছোট্ট ছোট্ট শখ আনন্দ দিচ্ছে আমাকে।যেহেতু আমি একজন ডিজাইনার তবে কিন্তু আমি শিল্পী নই। তাও আঁকছি নিজের কথা আর ভাবনা |স্বভাবগত ভাবে ,সিনেমা দেখা, টিভি দেখা, গেম খেলা কোনটাতেই আমাকে আকর্ষিত করে না। আমি খুব বেশি নিজের সময়কে মূল্যায়ন করি। আমি যেখানে যেই সময় দেই সেটার একটা ভাল ফলাফল হতে হয়। আমি আমার নিজের সময়কে খুব ভালোবাসি। এজন্য উত্পাদনশীল কিছু করার চেষ্টা করছি |এই পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে সামনে কি প্ল্যানে চলবো,এটা নিয়ে কিছু কাজ করছি। অফিসের কাজ করছি বাসায় বসে।এই পরিস্থিতিতে আসলে করনীয় কি যদি এটা বলতে হয়, নিজেকে নিরাপদে রাখুন, শুধু কাছের মানুষকে না দেশকে নিরাপদে থাকতে সহায়তা করুন। এই পরিস্থিতিটা আমাদের সবাইকে মিলে মোকাবেলা করতে হব ,এটা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব।এটা একটা ন্যাশনাল ক্রাইসিস। এখানে আমাদের সবার, সবার পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে হবে না সবাইকে নিয়ে ভাবতে হবে, দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে।সব কিছুর পজেটিভ এবং নেগেটিভ দিক আছে।আমরা আসলে সরকার এবং এই পরিস্থিতির নেগেটিভ দিক টাকে নিয়ে সময় নষ্ট না করে, এটার ভিতর থেকে পজিটিভ দিক টাকে নিয়ে ভাবি এবং আলোচনা করি।সারাটাদিন যতই ব্যাস্ত রাখি না নিজেকে দিন শেষে এসে কিন্তু মনটা অস্থির হয়ে উঠে। কি জানি একটা হতাশা।কিসের জন্য একটা ভয়।আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা করি যেন পৃথিবীটা যেন সুস্থ হয়ে উঠে। পৃথিবীর সব মানুষ যেন আগের মত স্বাভাবিক হয়ে উঠে। আবারও আমরা মুক্ত হাওয়ায় নিশ্বাস নিতে পারি।যখন ইচ্ছা বাইরে যেতে পারি। যেটা ইচ্ছা করতে পারি।এই পরিস্থিতিতে আমরা কিন্তু ছোট্ট একটা জিনিস শিখেছি। নিজেকে নিয়ে না ভেবে, এবার সবাইকে নিয়ে ভাবতে হবে।এ সব এর ভিতরে মানুষ আছে, প্রকৃতি আছে, পশুপাখিও আছে।