কাশ্মীর ইস্যুতে ঘোর শত্রু ভারতের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসায়িক চুক্তি ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
এই বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা বাতিলের মাধ্যমে ভারত এখানে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে। এতে ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কার্যালয়ে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে দেশটির নীতি নির্ধারকসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো-ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেওয়া, দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা চুক্তি বাতিল, দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিগুলো পুনরায় পর্যবেক্ষণ করা, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে উত্থাপন ও ১৪ আগস্ট কাশ্মীরের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা।
এদিকে ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে ‘গুরুতর পরিণতি’ হবে বলেও উল্লেখ করেন ইমরান খান।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের কোনো জবাব দেওয়া হয়নি বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান।
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ আগস্ট) কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার ঘোষণা দেয় ভারত সরকার। ফলে নতুন করে কাশ্মীরের ইতিহাস রচনা করে মোদি সরকার।
রাজ্যসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের তুমুল বাধা ও বাগ-বিতণ্ডার মধ্যে এ ঘোষণা দেন। পরেরদিন সংসদে প্রস্তাবটি পাস হয়। এই দুই ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভেঙে দুই টুকরো করা হয়। এই ঘোষণার ফলে কাশ্মীর থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় লাদাখকে। বর্তমানে জম্মু ও লাদাখ দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করে পাকিস্তান সরকার। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া এই বিষয়ে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের পথ খুঁজছে পাকিস্তান। ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়া, তুরস্ক ও সৌদি সরকার প্রধানের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন ইমরান খান।