১০০ টাকায় পুলিশের চাকরি দিতে চেয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। বলেছিলেন, ‘৩ টাকা মূল্যের একটি ফরম ও ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট করলেই মিলবে পুলিশের চাকরি। শিগগিরই চুয়াডাঙ্গায় তিনজন নারী ও ১৫ জন পুরুষ কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে। সম্পূর্ণ যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের চাকরি হবে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ বিভাগে চাকরি হয়।
এ ব্যাপারে কেউ একটি পয়সাও নিতে পারবেন না। কারও তদবিরে কোনো কাজ হবে না। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে।’
পুলিশ সুপারের কণ্ঠে এমন কথা শোনার পর অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন তিনি কথার কথা বলছেন। কিন্তু সেই কথার সঙ্গে কাজের হুবহু মিল রেখে রীতিমতো দৃষ্টান্তই স্থাপন করতে চলেছেন এসপি মাহবুবুর রহমান।
বিনা টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাচ্ছেন জেলার ১৮ তরুণ-তরুণী। তাদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের।
চুয়াডাঙ্গায় গত ২২ জুন পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিক বাছাইয়ে অংশ নেন প্রায় ১০ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী। এর মধ্যে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন ২৮১ জন। এর মধ্যে ২৪৮ জন পুরুষ এবং ৩৩ জন নারী।
গত ২৩ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়াদের মধ্য থেকে ১২০ জন পুরুষ এবং ২৯ জন নারী উত্তীর্ণ হয়েছেন। মৌখিক ও মেডিকেল পরীক্ষার পর এদের মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে ১৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আর্থিক বাণিজ্য ছাড়া নিয়োগ পাওয়ার আশা করছেন পরীক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। পুলিশ সুপারের এই স্বচ্ছ নিরপেক্ষ উদ্যোগ ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশংসা পাচ্ছে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন এসপি মাহবুবুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, নিয়োগ কাজে সব কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। কোনো দালাল চক্রের উদ্ভব হতে দেয়া হয়নি। টাকার চেয়ে স্বচ্ছ কাজের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের হাসির মূল্য আমার কাছে অনেক বড়। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।