রিফাত রাহুল খাঁন:তরুণ প্রজন্মের অন্যতম নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী নমিরা আহমেদ। মা হতে চলেছেন তিনি। করোনার এ দূর্যোগপূর্ণ অবস্থায় মা হওয়ার বিষয়টা নিয়ে তিনি জানান; আমার বর্তমান ধাপের প্রতিটা পদে পদে প্রতিটা পরিবারের উচিত অধিক থেকে অধিকতর যত্নবান ও গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব নেয়া প্রসূতি মায়েদের জন্য অধিকতর জরুরী। আমার দিক থেকে বলবো আমার স্বামী আমার এ সময়টাতে আমার যত্ন নিচ্ছেন বেশ দায়িত্বসহকারে। আমার শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন( শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী) সকলেই আমার প্রতি অধিকতর যত্মবান। আমার বাসার ছাদে এরমাঝে কিছুদিন ব্যায়াম করেছি। এখন ঝুঁকি হওয়ার কারণে সেটা করা হচ্ছে না। খাবারের দিক থেকেও বাঙালিয়ানা খাবার খাচ্ছি । এছাড়া তিনি জানান; প্রসূতি মায়েদের জন্য করোনার এ সময়ে কখনই একজন গাইনী ডাক্তারের উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়; বিভিন্ন গাইনী ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কেননা; হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই মহামারীতে ডাক্তারের সংখ্যা এমনিতেই সীমিত। তাই বিভিন্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। করোনার পরবর্তীকালীন অবস্থার কথা চিন্তা করে তিনি বলেন; দেশের অবস্থা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা সহসাই বলা যাচ্ছে না?..আমাদের ট্রাভেলস এজেন্সী এবং এক্সপোর্ট ও ইমপোর্ট এর ব্যবসাও করোনার জন্য স্থবির হয়ে আছে। মূলত; করোনা পরবর্তীকালীন অবস্থা বুঝে বলা যাবে। শোবিজের অনেক তারকাই সংসারী হওয়ার পর মিডিয়া ছেড়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন; আমার যেহেতু একজন নৃত্যশিল্পী ; সেহেতু নাচের সাথে আমার রক্তের একটা বন্ধন হয়ে গেছে। নাচের কারণে মিডিয়া ছাড়তে পারবো না। আমি এখন একটা বিরতিতে আছি। বিরতিতে প্রতিনিয়ত শিখছি; বিরতি শেষে সংসারে স্বামী-সন্তানকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি মিডিয়াতেও কাজ করবো। এছাড়াও আমি অভিনয়ও করেছি ভালো মানের অভিনয়শিল্পীদের সাথে। যাদের কাছ থেকে অভিনয়ের অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি।নাচের একটি স্কুল দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সংসারজীবনের পাশাপাশি মিডিয়াতেও কাজ করে যেতে চাই। সকলের জন্য প্রার্থনা যেন এই করোনা মহামারী থেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি এটাই প্রত্যাশা।
ছবি: আবু সুফিয়ান নির্লভ