ইউক্রেনে রুশ হামলার এক সপ্তাহ পার হয়েছে। এরমধ্যেই এই যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে জ্বালানি তেলের দাম এখন সর্বোচ্চে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ফুরিয়ে আসায় বিশ্ববাজার থেকে তরলীকৃত গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপরে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। এলএনজির আমদানি বাড়াতে জ্বালানি রফতানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে দেন-দরবার শুরু করেছে জ্বালানি বিভাগ। বর্তমানে কাতার সফরে গিয়ে দেশটির জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অতিরিক্ত এলএনজি কেনার বিষয় কথা বলেছেন।
গত দুই বছরে করোনাভাইরাসের যে প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়েছে, তা এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি। ২০২২ সালে করোনার প্রভাব কিছুটা কম থাকায় খানিকটা চাঙ্গা হতে যাচ্ছিল, কিন্তু বছরের শুরুতেই ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
ব্লুমবার্গের ভোক্তা তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (৩ মার্চ) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১১.২৬ ডলার। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাড়তি এই দাম রেকর্ড অবস্থানে চলে গেছে। যা ২০১৪ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ। রাশিয়া তেল রফতানি বন্ধ করলে এই দাম আরও বাড়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববাজারে জ্বালানির এই পরিস্থিতিতে শঙ্কিত বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলছেন, যদিও এখনো যুদ্ধের আঁচ বাংলাদেশের ওপর পড়েনি। কিন্তু এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে সেটা সামলানো বাংলাদেশের জন্য মুশকিল হয়ে পড়বে। জ্বালানি তেলের সরবরাহ ও খরচ দুইদিক থেকেই বাড়বে।