যুবলীগ চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি, আটক দুই

0 0
Read Time:4 Minute, 31 Second

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা দাবির অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট। 

মঙ্গলবার ভোরে ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফিরোজ খন্দকার ও রাকিবুল। আরো তথ্য জানতে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এ প্রতারক চক্রকে। সকালে সিএমএম কোর্টের বিচারক আশেক ইমামের আদালতে তোলা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়। এরপর আদালত তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

মামলার বাদী ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান বলেন, সম্প্রতি যুবলীগ চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্নজনের কাছে টাকা দাবির মতো ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে বনানী থানায় মামলা করা হলে সাইবার ক্রাইম টিম প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। 

আজ সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন এ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সাইবার ক্রাইমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ। 

সূত্র জানায়, গ্রেফতারের আগে ফিরোজ খন্দকার হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষাধিক টাকা। তিনি ঢাকার খিলখাঁও এবং কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বুথ থেকে এ প্রতারণার টাকা তুলেন। সন্দেহ এড়াতে এ প্রতারণা টাকা উত্তোলনের সময় মোটরসাইকেল চড়ে বিভিন্ন বুথ থেকে  অল্প অল্প করে টাকা তুলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ফিরোজ খন্দকারের। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের সিটি সাইবার ইন্টারনেট রেফারেল টিম  খিলখাঁও এবং কেরানীগঞ্জের যেসব বুথ থেকে ফিরোজ টাকা তুলেন তার সবগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। 

যুবলীগ চেয়ারম্যানের হয়ে গত ১৫ অক্টোবর রাজধানীর বনানী থানায় ওই প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান। মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪ ও ২৬ ধারায় করা হয়। এতে ‘মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোনিং করে টাকা দাবির অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়। মামলার পরপরই সাইবার সিটি তদন্ত নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে ফিরোজ খন্দকারকে সনাক্ত করে তারা।

সূত্র জানায়, পরশের নাম করে তার ব্যবহৃত রবি নম্বরটি ক্লোন করে গত ৯ অক্টোবর প্রথম ফোন করা হয় গাইবান্ধা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীন হাসান লোটনের গ্রামীণ ফোনের নম্বরে। সংগঠনের জন্য চাঁদা হিসেবে তাকে একটি রকেট নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়। একই দিন নেত্রকোনা যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের চপলকে ফোন করে বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়।

গত ১০ অক্টোবর মুশফিকুল ইউনুস জায়গীরদার নামে এক ব্যক্তি এবং পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সনি বিশ্বাসকে ফোন করে বিকাশে টাকা চাওয়া হয়। এছাড়াও গত কয়েকদিনে একই পরিচয়ে দেশের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে ফোন করে টাকা দাবি করে এ প্রতারক চক্রটি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *