হামলার অষ্টম দিন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কিছু এলাকা রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে অনেক হুমকি-ধমকি দিলেও এখনও পর্যন্ত এই জোট ইউক্রেনের জন্য কার্যত কিছুই করেনি। এরই মধ্যে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ প্রচ্ছন্নভাবে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রশ্ন উঠেছে রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে। কারণ, প্রেসিডেন্ট পুতিনের হাতে রাসায়নিক অস্ত্রের অনেক বড় মজুদ রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক ওব্লাস্টে অবস্থিত দ্য স্টেট সেন্টার ফর রিসার্চ অন ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি সেন্টারে গুটিবসন্ত ও অ্যানথ্রাক্সের মতো বিপর্যয়কর রোগের পাশাপাশি সাম্প্রতিক ইবোলার মতো ভাইরাস রাখা আছে। ১৯৭৪ সালে শীতল যুদ্ধের সময় একটি জৈব সন্ত্রাসবাদ গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে এটি চালু করা হয়েছিল। এটি এখনও রাশিয়ার সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানগুলির মধ্যে একটি। এই কেন্দ্রটি স্থায়ীভাবে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা এবং সবসময় সশস্ত্র সেনারা টহল দেয়।
৭০ হাজার বর্গফুটের এই কেন্দ্রটি ফুটবল মাঠের সমান। এটি বিশ্বের ৫৯টি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জৈব রাসায়নিক গবেষণাগারগুলো মধ্যে একটি। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সমমর্যাদা সম্পন্ন এই কেন্দ্রটি।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতি জীবাণু নিয়ে কাজ করার অনুমতি রয়েছে ভেক্টর নামে পরিচিত কেন্দ্রটির। এখানে যারা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেন তাদেরকে সামরিক সবুজ রঙের পুরো দেহ আবৃত করে এমন হ্যাজমেট স্যুট পরতে হয়।